দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে শুরু করে হালের টিকটক- এক জীবনে দুনিয়ার অনেক উত্থান-পতন দেখেছে মুজা। সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানার বাসিন্দা ৮৫ বছর বয়সী মুজাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী এই কুমির।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উত্তাল সময়ে বেশ কয়েকটি বোমাবাজির ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া মুজা সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানার ছোট্ট পুকুরেই কাটিয়ে দিয়েছে জীবনের ৮৫ বছর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে অবশেষে সার্বিয়ার বেলগ্রেড চিড়িয়াখানার ঠাঁই হয় মুজার। সেই থেকে ৮৩ বছর এখানেই রয়েছে প্রাচীন এই প্রাণীটি। ঠিক কবে মুজার জন্ম হয়েছিল বলতে না পারলেও ১৯৩৭ সালের আগস্টে জার্মানির একটা চিড়িয়াখানা থেকে বেলগ্রেডে আনা হয় মুজাকে। সেই থেকে এখানেই আছে সে।

চিড়িয়াখানার পশুচিকিৎসক জোজেফ এদভেদজ মুজা সম্পর্কে জানান, উনি একজন প্রাচীন ‘ভদ্রলোক’, তার বয়সকে আমরা শ্রদ্ধা করি। ২০২০ সালের মে মাসে রাশিয়ার মস্কো চিড়িয়াখানায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেঁচে থাকা কুমির স্যাটার্ন ৮৪ বছর বয়সে মারা গেলে মুজাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী কুমির হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

মুজাকে যখন বেলগ্রেডে আনা হয় তখন তার দুই বছর বয়স ছিল বলে ১৯৩৭ সালের সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। তবে ওই প্রতিবেদনের সাথে যুক্ত ছবিতে মুজাকে আরো বেশি বয়সী মনে হচ্ছিল। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ধারণা মুজার বয়স এখন ৯২ বছর।

তবে বয়সের তুলনায় মুজা এখনো শক্তপোক্ত আছে বলে পশু চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। তাই আরো ১৫/২০ বছর বেঁচে মুজা অন্তত নিজের ১০০তম জন্মদিনের মাইলফলক ছুঁতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চিকিৎখানা কর্তৃপক্ষ।