স্বামী নুরুন নবী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন। আর কৌশলে বিপক্ষে নির্বাচন করতে শেষ দিনে দুই স্ত্রীকে দিয়েই মনোনয়নপত্র দাখিল করিয়েছেন তিনি। এমনই ঘটনা ঘটেছে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে।
বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিনে নুরুন নবীর দুই স্ত্রী নাসিমা বেগম ও ফেরদৌসি বেগম মনোনয়ন জমা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, নুরুন নবী খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন৷ নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাকরির ১২ বছর বাকি থাকতেই স্বেচ্ছায় অবসর নেন। এরপর নির্বাচনী তফসিল ঘোষিত হলে তিনি নিজে ও তার দুই স্ত্রী ফোরদৌসি ও নাসিমাকে দিয়েও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি গত রোববার নৌকার মনোনয়ন পান। বৃহস্পতিবার তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
এলাকায় জনপ্রিয় হওয়ায় জনপ্রতিনিধি হতে গত ছয় মাস আগে তিনি সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জটিলতা হওয়ার আশঙ্কায় তিনি তার দুই স্ত্রীকে দিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করিয়েছেন। যদি এ ধরনের জটিলতায় তার দলীয় মনোনয়ন বাতিল হয় তাহলে স্ত্রীকে দিয়ে নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারেন।
তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে- স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও দুই সতীনের মধ্যে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ফেরদৌসি বেগম ও নাসিমা খাতুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী নুরুন নবী সাংবাদিকদের বলেন, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করি; যাতে পরিবারের কেউ একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারি। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ বলেই ভেবেচিন্তে কাজটি করেছি।