ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে আটকে পরা নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দ্রুত নাবিকদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযুষ দত্ত।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নাবিকদের নিয়ে আসতে চাই। জাহাজের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করব। নাবিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে নিয়ে আসার ব্যাপারে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকার কাজ করছে। কী প্রক্রিয়ায় আনা হবে সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।
তিনি বলেন, হামলায় ‘জাহাজের নেভিগেশন জেটি ক্ষতি হয়েছে। যেহেতু নোঙর করা অবস্থায় হামলা হয়েছে, তাই চলাচলের যোগ্য কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত জাহাজের ক্ষতি হয়েছে এটুকু নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। জাহাজ চলতে পারবে কিনা তা টেস্ট করার আগে বলা যাবে না। হয়তো চলার জন্য কিছু কাজও করতে হবে। আবার চলতেও পারে। যাচাই বাছাইয়ের আগে বলা যাবে না, জাহাজটি চলতে পারবে কিনা।
পীযুষ দত্ত বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে নাবিকদের জাহাজ থেকে নামিয়ে আনতে পারি না। আমরা অপেক্ষা করছি। যারা চেষ্টা করছে তাদের থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার, পরে তাদেরকে জাহাজ থেকে নামিয়ে নিতে পারি। এর আগে আমরা মনে করি জাহাজেই নিরাপদ আছে। নিরাপত্তা না পাওয়া পর্যন্ত নাবিকদের জাহাজ থেকে নামিয়ে দিতে পারি না।
যুদ্ধ জোন ঘোষণার পরেও কেন জাহাজ সেখানে গেল- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেখানে আরও ২০-২২টি জাহাজ আছে। বিভিন্ন শর্ত পূরণ করেই জাহাজটি যেতে দেওয়া হয়েছে। এর কোনো ব্যত্যয় হয়নি। ২৮ জন নাবিক জাহাজেই আছেন। আর মারা যাওয়া নাবিকের মরদেহও জাহাজে রয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিরাপত্তা নিশ্চয়তার বিষয়টি না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত জাহাজে থাকাই নিরাপদ। এ কারণেই নাবিকদের জাহাজে রেখেছি।
পীযুষ দত্ত বলেন, জাহাজের নাবিকরা আতঙ্কে রয়েছেন। এই আতঙ্ক তো আমরা ইগনোর করতে পারব না। ওদের মানসিক অবস্থাটা আমাদের বুঝতে হবে। তাদেরকে নিরাপদে উদ্ধার করতে বা নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যেতে আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি নেই।
তাদের আকুতি ও মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়েই সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে নিরাপদে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা টার্গেট আক্রমণ কিনা এ ব্যাপারে আমরা কোন তথ্য পাইনি। এখনই কাউকে সরানো বা লাশ সরানো কঠিন, বলেন তিনি।