লিগ ওয়ানের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিওর বিপক্ষে মেসি-নেইমারদের এমন নাটকীয় জয় এসেছে ২-১ গোলের ব্যবধানে।
৮২ মিনিটে দি মারিয়ার জায়গায় মাঠে নামেন মাওরো ইকার্দি। কে ভেবেছিল এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার হবেন দলের ত্রাতা। ম্যাচ যখন ড্রয়ের দিকে যাচ্ছিল, রেফারির শেষ বাঁশি বেজে ওঠার অপেক্ষা। তখনই এমবাপ্পের মাপা ক্রসে ইকার্দি লাফিয়ে উঠে হেডে লক্ষ্যভেদ করে প্যারিস সেন্ত জার্মেইকে তিন পয়েন্ট এনে দেন।
৬ ম্যাচের সবকটিতে জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে পিএসজি। সমান ম্যাচে লিও দ্বিতীয় হারে আগের ৮ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুজের সঙ্গে ড্র করে এই প্রথম লিগ ওয়ানের ম্যাচ খেলেছে পিএসজি। পার্ক দি প্রিন্সেসে নিজেদের দর্শকদের সামনে লিওনেল মেসি প্রথম খেললেন। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে মনোযোগ দেয়। মুহুর্মুহু আক্রমণ করে কোনোভাবেই গোল পাচ্ছিলো না প্যারিসের সেরা দলটি। একের পর এক গোল মিসের মহড়া দিয়ে গেছে ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচ ঘড়ির ৮ মিনিটে দি মারিয়ার ডান পায়ের জোরালো শট গোলকিপার প্রতিহত করেন। ১৭ মিনিটে মেসির শট গোলকিপার লোপেসকে বড় পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি।
৩২ মিনিটে নেইমারের ব্যাক পাস থেকে মেসির শট দূরের পোস্ট দিয়ে যায়। ৫ মিনিট পর মেসির ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি-কিক ক্রস বারের কোনায় লাগলে সমর্থকদের হতাশই হতে হয়।
বিরতির পর অনেকটা খেলার ধারার আচমকা লিও গোল করে এগিয়ে যায়। ৫৪ মিনিটে একাম্বির পাসে পাকেতা বা পায়ে দুর্দান্ত ফিনিস করেন। গোলকিপার দোনারুম্মা চেষ্টা করেও প্রতিহত করতে পারেননি।
যদিও পিএসজি ম্যাচে সমতায় ফিরেছে ৬৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে। নেইমারকে ফেলে দেন গুস্তো। স্পট কিক থেকে নেইমার গোলকিপারের বিপরীত দিক দিয়ে সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন।
গোল ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পিএসজি কম চেষ্টা করেনি।৬৯ মিনিটে নেইমারের কর্নার থেকে মারকুইনহোস পোস্টের সামনে থেকে পা ছোঁয়াতে পারেননি।
যোগ করা সময়ে ইকার্দি হেডে ম্যাচের চিত্রই পাল্টে দেন। তার গোলেই পিএসজির জয় নিশ্চিত হয়েছে। আর এক পয়েন্টের স্বপ্ন ভঙ্গ হয় লিওর!