গান্ধী আশ্রম, নোয়াখালী ও ভারতীয় হাই কমিশন, ঢাকা যৌথভাবে আজাদী কা অমৃত মহোৎসব উদযাপনের অংশ হিসেবে ২ অক্টোবর ২০২১ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে ‘অহিংসা, সত্যাগ্রহ এবং মহাত্মা গান্ধীকে স্মরণ’ শীর্ষক একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। মহাত্মা গান্ধীর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০০৭ সাল থেকে দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবেও পালন করা হয়।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ.কে. আব্দুল মোমেন ও ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রী বিক্রম দোরাইস্বামী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী  আসাদুজ্জামান নূর, এমপি, মিস অ্যারোমা দত্ত, এমপি, জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন আবাসিক সমন্বয়কারী মি. টুয়োমো পুটিআইনেন এবং আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী। গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়াও, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আনিসুল হক, ড. এ.কে. আবদুল মোমেন এবং হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী সদ্য সংস্কারকৃত গান্ধী স্মৃতি জাদুঘরও উদ্বোধন করেন। গান্ধী আশ্রম ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত অনন্য এই জাদুঘর সংস্কারে সহায়তা করেছে ভারত সরকার। বিশিষ্ট অতিথিরা গান্ধী স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন এবং মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতিচিহ্ন এবং জাদুঘরের প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, গান্ধীজীর জীবন এবং তাঁর বাণী আজও প্রাসঙ্গিক। তিনি ২০১৯ সালে মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত জাতিসংঘের একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য স্মরণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন যে, গান্ধীজীর সাধারণ মানুষের প্রতি ভালবাসা এবং অহিংসার আদর্শ তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে অবদান রেখেছিল।

মুজিববর্ষ উদযাপনকালে বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী বাংলাদেশে প্রদর্শিত হওয়ায় হাই কমিশনার আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকায় চলমান বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী দেখার জন্য দর্শকদের আমন্ত্রণ জানান। প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ঢাকায় উন্মুক্ত থাকবে এবং পরে চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং রাজশাহীতে প্রদর্শিত হবে। তিনি বলেন, প্রদর্শনীটি আমাদের দুই দেশের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও উত্তরাধিকারের মতন একটি অনন্য বিষয়কে উপস্থাপন করছে।

অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চণ্ডালিকা অবলম্বনে একটি বিশেষ নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করে ঢাকার স্পন্দন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।