নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন-নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তিনি নৌকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতিও আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মনের কথা আমার নেতারা বুঝেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় নৌকার পক্ষে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আইভী বলেন, এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, জনগণের ঘাঁটি। আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছিল নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়া মিউচুয়াল ক্লাবে। কিন্তু এ শহরকে কলুষিত করা হয়েছিল। সে কারণেই নেত্রী আমাকে নৌকা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমার বাবা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী ছিলেন। তিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন। আমি দীর্ঘদিন আপনাদের জন্য কাজ করেছি।
আইভী বলেন, যখন শহরে কেউ ছিল না তখন নেত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে নির্বাচন করেছি। আপনারা লাখ ভোটের ব্যবধানে জয়ী করেছিলেন। ২০১৬ সালেও আপনারা একই কাজ করেছিলেন। এ নৌকা আইভীর নৌকা, বিজয়ের নৌকা, বঙ্গবন্ধুর নৌকা। এই নৌকাকে হারানোর ক্ষমতা কারও নেই।
তিনি বলেন, বিগত পাঁচ বছরে নারায়ণগঞ্জের আনাচে-কানাচে উন্নয়ন হয়েছে। আপনারা নিশ্চই এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন। আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে ঘুরে দেখেছি। মাটি ও মানুষ বলছে নৌকা নৌকা। আমি নারায়ণগঞ্জবাসীকে অনুরোধ করব- আমাকে পাঁচ বছরের জন্য সুযোগ দেন। যে কোনো সময় অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। আমি আপনাদের জন্য মৃত্যুকেও বরণ করতে রাজি আছি। আমি ঘর-সংসারের দিকে তাকাইনি। আশা করি আপনারা আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না।
পথসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মেয়র প্রার্থী আইভীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদল প্রমুখ।
পথসভায় নারায়ণগঞ্জ সদর, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জ ছাড়াও ফতুল্লা, পাগলা, রূপগঞ্জ, আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের হাজারো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।