বাংলাদেশ কাভার্ড ভ্যান-ট্রাক-প্রাইমমুভার পণ্য পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন আজ মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছে। এর ফলে পোশাক শিল্পে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিজিএমইএ’ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

তারা শিল্পের সব কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে অনতিবিলম্বে সড়কপথে পণ্য পরিবহন পরিস্থিতি স্বাভাবিককরণে উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।

মঙ্গলবার বিজিএমইএ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন—সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, সহ-সভাপতি (অর্থ) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, মো. নাসির উদ্দিন এবং পরিচালক মো. খসরু চৌধুরী।

বিজিএমইএ’র প্রতিনিধি দল জানান, পোশাক শিল্পের প্রধান রফতানি বাজারগুলোতে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গণহারে টিকাদান কার্যক্রম নেওয়ায় এসব দেশে দোকানপাট খুলছে। যার ফলশ্রুতিতে এখন পোশাক শিল্পে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। তারা বলেন, পোশাক শিল্প একটি টাইম বাউন্ড শিল্প। এ শিল্পের জন্য প্রতিটি ঘণ্টার মূল্য আছে এবং উদ্যোক্তাদের ক্রেতাদের শর্ত (স্বল্পতম সময়ের মধ্যে উৎপাদন) মেনে নিয়ে উৎপাদন ও রফতানি কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়। তাই, এই মুহূর্তে কর্মবিরতির কারণে সড়কপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ হলে তা শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তারা সড়কপথে পণ্য পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। মন্ত্রী অতি দ্রুত পরিবহন নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধানের বিষয়ে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দকে আশ্বস্ত করেন।

বিজিএমইএ প্রতিনিধিদল আরও জানায়, মহামারির কারণে দোকান ফাঁকা বলে অনেক ক্রেতা এয়ার ফ্রেইটে পণ্য পাঠাতে বলেছে। ক্রেতাদের তুমুল চাহিদার কারণে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কনটেইনার কার্গোর জট সৃষ্টি হয়েছে। অথচ, রফতানি পণ্য তাৎক্ষণিক স্ক্যানিং

করার জন্য বিমান বন্দরে পর্যাপ্ত সংখ্যক মেশিন নেই। মন্ত্রী বিজিএমইএ প্রতিনিধি দলের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে বিষয়টি সুরাহার আশ্বাস দেন।