পদ্মা সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সিস্টেম-ইটিসিএস। স্বয়ংক্রিয় এই টোল আদায়ের আওতায় আনা হয়েছে ১৪টি বুথ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মঞ্জুর হোসেন স্মার্ট পদ্ধতিতে টোল পরিশোধ করে টোল প্লাজা অতিক্রম করে এই পদ্ধতির কার্যক্রম শুরু করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন পদ্ধতিতে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে একটি করে বুথে এই টোল আদায় করা হবে। এই পদ্ধতির জন্য রেজিস্ট্রেশন করা গাড়ি টোলপ্লাজার সামনে আসতেই রোবটিক ক্যামেরা গাড়ি শনাক্ত করবে। এরপর নির্ধারিত টোল কাটা হলে ব্যারিয়ার উঠবে। দুই পাড়েরই ১ নম্বর বুথে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। আর দুই পাড়ের ২ নম্বর বুথে থাকছে হাইব্রিড সিস্টেম-টাচ অ্যান্ড গো পদ্ধতি। কার্ডে ব্যালেন্স থাকলে টাচে ক্যাশলেস টোল দেওয়া যাবে। কেউ চাইলে ক্যাশেও টোল দিতে পারবেন। এর ফলে টোল প্লাজা অতিক্রমে সময় অপচয় হবে না। আর দুই পাড়ের ৩ থেকে ৭ নম্বর- এই পাঁচটি বুথে টাচ অ্যান্ড গো এবং ক্যাশ পদ্ধতিতে টোল দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, আগামী তিন মাস পরীক্ষামূলকভাবে এই ইলেকট্রনিক টোল আদায় কার্যক্রম চলবে। এই সময়ে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি দেখা দিলে তা সমাধান করে নিয়মিত কার্যক্রম চালু করা হবে। নতুন এ দুই পদ্ধতি ব্যবহারে প্লাজা অতিক্রমে কোনো সময় অপচয় হবে না। তবে সেতু ব্যবহারকারী যানগুলোর কার্ড বা রেজিস্ট্রেশন করা না থাকায় এর সুফল এখনও পুরোপুরি পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত পরিচালক আমিরুল হায়দার চৌধুরী বলেন, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের উত্তর থানার কাছে বুথ চালু করা হচ্ছে। সেখান থেকে কার্ড গ্রহণ এবং রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
উল্লেখ, গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ জুন থেকে সেতুতে যান চলাচল শুরু হয়। উদ্বোধনের পর থেকে গত এক বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৭৯১ কোটি টাকা। এই সময়ে সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে মোট ৫২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৫৫টি যানবাহন।