ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে বনানী থানায় করা মাদক মামলার তদন্তকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই এ মামলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলাটির তদন্ত প্রায় শেষ। এ সংক্রান্ত পুলিশ রিপোর্ট খুব দ্রুত আদালতে জমা দেওয়া হবে।
পুলিশ রিপোর্টটি চার্জশিট হিসেবে দাখিল করা হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি এখনই বলা যাবে না। পুলিশ রিপোর্ট যে কোনো কিছু হতে পারে। এটি চার্জশিট বা অন্য কিছুও হতে পারে।
গত ৪ আগস্ট বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে পরীমনিকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাসা থেকে বিদেশি মদের খালি বোতল, বোতলভর্তি মদ, ইয়াবা, আইস ও এলএসডি জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক মামলা করে র্যাব। একই দিন র্যাব পরীমনির ঘনিষ্ঠজন ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার ও মাদক জব্দ করে। তার বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়।
মাদক মামলায় পরীমনিকে তিন দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
বনানী থানায় পরীমনির বিরুদ্ধে করা মামলার বাদী ছিলেন র্যাব ১-এর কর্মকর্তা মজিবর রহমান। এজাহারে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে, বনানীর একটি বাসায় পরীমনি সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর মাধ্যমে বিদেশি মদ সংগ্রহ করে বাসায় সংরক্ষণে রেখেছেন। তার শয়নকক্ষের একটি কাঠের ফ্রেমের ভেতর থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়। প্রতি বোতল মদের দাম ৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া চার গ্রাম আইস ও একটি এলএসডি ব্লট উদ্ধার করা হয়। একই মামলায় কবির নামে আরেকজনকেও আসামি করা হয়।
প্রথমে মামলাটির তদন্ত শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়।