ঢাকাই সিনেমার  আলোচিত অভিনেত্রী পরীমণিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ।

সোমবার  সাভার থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. কামাল হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছেন তিনি। এফআইআর-এ অপর আসামি শাহ শহিদুল আলমের নাম না থাকলেও তদন্তের সময় তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় চার্জশিটে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

১৪ জুন নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অমিসহ পাঁচ জনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এর আগে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরিমণি। ওই দিন দুপুরে পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

সেই মামলার এজাহারে পরীমণি বলেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে তারা উত্তরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধস্থ ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করান। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর তোমরা নামলে নামতে পারো।

এজাহারে পরীমণি আরও বলেন, তখন আমার ছোটবোন বনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট হতে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদেরকে ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদ্যপানের জন্য জোর করেন। আমি মদ্যপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।