ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। তাই পর্তুগাল সরকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধ করার জন্য নতুন বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সাংবাদিক সম্মেলনে ১ ডিসেম্বর থেকে দেশে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি ঘোষণা করেন এবং একই দিন থেকে কার্যকর নতুন বিধিনিষেধ তুলে ধরেন।
জারিকৃত নতুন এ বিধিনিষেধে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অনেকটা আশাহত হয়ে পড়েছেন; কেননা শীতকালেও পর্যটকদের পদচারণায় থাকে পর্তুগালে। যেহেতু ভ্রমণেও প্রতিবন্ধকতা আরোপ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে শীতকালীন পর্যটক অনেকটাই কমে যাবে। বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে আলাপ করে এই হতাশার গল্প শোনা গেছে।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় প্রবাসী ব্যবসায়ী মোজাম্মেল হোসেন মিয়াজী জানান, মহামারির কারণে আমাদের ব্যবসা বলতে গেলে খাদের কিনারায় এসে পৌঁছেছে। পর্তুগালের করোনা পরিস্থিতি উন্নত হওয়ার আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছিলাম কিন্তু সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রূপান্তর হতে যাচ্ছে।
নতুন বিধিনিষেধের আওতাবদ্ধ স্থানে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারসহ রেস্টুরেন্ট, হোটেল, মোটেল, পর্যটন কেন্দ্র, জিমনেসিয়াম এবং যেকোনো ইভেন্টে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ইইউ ডিজিটাল কোভিড সার্টিফিকেট। তাছাড়া পানশালা, বৃদ্ধাশ্রম, চিকিৎসাধীন রোগীদের সাথে সাক্ষাৎ এবং ডিস্কোতে গমনের জন্য অবশ্যই ভ্যাকসিন গ্রহণ বা করোনা নেগেটিভ টেস্ট সার্টিফিকেট প্রয়োজন হবে।
পর্তুগালে বিমানে আগত সব যাত্রীর জন্য করোনা নেগেটিভ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বড়দিন এবং নতুন বছরের ছুটি পরবর্তী ঊর্ধ্ব সংক্রমণ পরিস্থিতি ঠেকাতে আগামী ২০২২ সালের জানুয়ারির ২ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত টেলিওয়ার্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং একই সময় সব ডিস্কো বন্ধ থাকবে। স্কুলসহ সকল স্কুল-কলেজের বড়দিনের ছুটি ১০ জনুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আন্তোনিও কস্তা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শীত মৌসুমে করোনার সংক্রমণ অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া সামনে বড়দিনের পারিবারিক মিলন এবং নতুন বছরের অনুষ্ঠান শেষে উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতি রোধ করার জন্যই এ নতুন বিধিনিষেধ। তিনি আরও বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি। সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রমকে সফল করার জন্য তিনি দেশের জনগণের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।