ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের জেরে এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সম্পদ জব্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউর সদস্যরাষ্ট্রগুলোর সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তিকে জানিয়েছেন অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর কার্ল নেহাম্মার।

নেহাম্মার বলেন, ‘আমরা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব সদস্য এই ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি। গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আপাতত তাদের সম্পদ জব্দ করা হবে; তবে ইউরোপে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনো বাধা দেওয়া হবে না।’

‘এই সিদ্ধান্ত অবশ্য একেবারে চিরস্থায়ী নয়। যদি রাশিয়া ও ইইউয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পরিবেশ তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।’

গত দুই মাস ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রাখার পর বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে সামরিক অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো।

সে সময় অবশ্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং লাভরভের মতো তার ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার নিশানা করা হয়নি।

তবে শুক্রবার ইইউ অবস্থান বদলেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু করে শুক্রবার পযন্ত অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে ইইউ নেতারা পুতিন এবং ল্যাভরভের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা নিয়ে আলোচনা করে শেষ পর্যন্ত তাদের সম্পদ জব্দের সিদ্ধান্ত নেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।