ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন বিমানের ১২৪ জন যাত্রী। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি।
শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি। বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গতকাল ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে দেশে ফেরার সময় পাইলট হার্ট অ্যাটাক করায় ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে বিমানের ফ্লাইট। এসময় ফ্লাইটটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। ফ্লাইটটির এক পাইলট হঠাৎ অসুস্থবোধ করায় জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, ওই ক্যাপ্টেনের নাম নওশাদ আতাউল কাইউম। ফ্লাইটটি মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের পর তাকে দ্রুত ককপিট থেকে বের করে স্থানীয় হোপ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হার্ট অ্যাটাক করার পরও পাইলটের মাথায় ছিল ১২৪ যাত্রীর ভাবনা। তাই তিনি সবার আগে নিরাপদে কোথাও অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। তার এই সিদ্ধান্ত দেশে ও প্রবাসে ব্যপক প্রশংসিত হচ্ছে।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে বলেন, পাইলটের চিকিৎসা চলছে, তিনি রেসপন্স করছেন। চিকিৎসকরা ছাড়পত্র দিলেই তিনি দেশে ফিরবেন। সেই উড়োজাহাজ ও যাত্রীদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে যাত্রীদের ফেরানোর আগে তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে দুবাইগামী একটি ফ্লাইটে অতিরিক্ত পাইলট ও ক্রু ভারতের নাগপুরে নামিয়ে দিয়ে আসা হবে। তারা উড়োজাহাজ ও যাত্রীদের নিয়ে ঢাকায় ফিরবেন।
জানা গেছে, ফ্লাইটটিতে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। উড়োজাহাজের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, যাত্রীরাও নিরাপদে আছেন। যাত্রীদের এয়ারক্রাফট থেকে নামিয়ে টার্মিনালের লাউঞ্জে নেওয়া হয়।
বিমান জানিয়েছে, মাস্কাট-ঢাকা রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের শিডিউল ফ্লাইট বিজি-০২২ মোট ১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার পথে পাইলট হঠাৎ শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করেন। এ কারণে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবা সাহেব আম্বেদকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণ করে।
বিমান আরও জানায়, ফ্লাইটটি ভারতের রায়পুরের আকাশে থাকাকালে পাইলট অসুস্থ বোধ করেন। এ সময় জরুরি অবতরণের জন্য কোলকাতা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা নিকটতম নাগপুর এয়ারপোর্টে অবতরণ করার পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী ফ্লাইটটি নাগপুরে অবতরণ করে। অবতরণের পর বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমকে হোপ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। বিমানের দিল্লি অফিসের কান্ট্রি ম্যানেজারকে জরুরিভিত্তিতে যাত্রী, ক্রু ও ফ্লাইটের বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার জন্য নাগপুর পাঠানো হয়।