রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া এবং ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ অনিয়মের বিভিন্ন ঘটনার তদন্ত করে আলোচনায় আসা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
জীবননাশের হুমকি পাওয়ার ১৬ দিনের মাথায় চাকরি খোয়ালেন শরীফ।
গত ৩০ জানুয়ারি প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার কথা জানিয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন শরীফ উদ্দিন।
১৬ ফেব্রুয়ারি তাকে চাকরিচ্যুতির আদেশ দেয় দুদক।
বুধবার দুদক কার্যালয় থেকে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের প্রজ্ঞাপনও জারি হয়।
এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে তার অপসারণের আদেশ কার্যকর হবে এবং বিধি অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
শরীফ গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, তাকে কোনো ধরনের ‘কারণ দর্শাও নোটিশ না দিয়ে’ অপসারণ করা হয়েছে, যেটি ‘অসাংবিধানিক’। তিনি ‘প্রভাবশালী মহলের’ রোষানলের শিকার বলে দাবি শরীফ উদ্দিনের।
শরীফকে চাকরিচ্যুতির বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান মো. মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ বলছেন, শরীফ উদ্দিন এমন কিছু করেছিলেন, যাতে ওই সিদ্ধান্ত নিতে কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে।
গত বছরের জুন মাসে রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান ও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক, সেসব মামলার বাদী ছিলেন শরীফ।
অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ স্থানান্তর ও নতুন সংযোগ প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (কেজিডিসিএল) বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করেন শরীফ।