নাগরিক ওয়ার্ক পারমিট (অনুমতি) নিয়ে বাংলাদেশে ১১৫টি দেশের প্রায় ২১ হাজার নাগরিক কর্মরত বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর মধ্যে চীনের নাগরিক সবচেয়ে বেশি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা উন্নয়ন প্রজেক্ট, শিল্পকারখানা, এনজিও, আইএনজিও এবং বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন।

বিদেশিদের মধ্যে ৬ হাজার ৭৫ জন চীনা, ৫ হাজার ৮৭৬ জন ভারতীয়, ২ হাজার ৪৬৮ জন রাশিয়ান, ১ হাজার ২৪৬ জন শ্রীলঙ্কান, ৯২৪ জন দক্ষিণ কোরিয়ান, ৫৫৭ জন জাপানি, ৪১৬ জন পাকিস্তানি, ৪৬০ জন ফিলিপিনো, ৩৯৯ জন থাইল্যান্ডের, ৩৭৮ জন বেলারুশিয়ান, ২৬৯ জন কাজাখস্থানী, ১৬৮ জন আমেরিকান, ১৩৯ জন কোরিয়ান, ১২৩ জন মালয়েশিয়ান, ১০৮ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক রয়েছেন। তারা ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত রয়েছেন।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে বর্তমানে কোনো স্ট্রিট ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট নেই। তবে ঢাকা মহানগরে বেসরকারি পর্যায়ে বহুতল ভবনে ও কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে নিজস্ব ফায়ার হাইড্রেন্ট পয়েন্ট আছে। রাজধানীতে এক কিলোমিটার পর পর অগ্নিনির্বাপণ সহায়ক স্ট্রিট হাইড্রেন্ট পয়েন্ট স্থাপনের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের টেবিলে উপস্থাপিত লিখিত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পরিসংখ্যান ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং অতি দরিদ্রের পরিসংখ্যান ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ২০২২ সালের মৌলিক চাহিদার ব্যয়ের ভিত্তিতে দারিদ্র্য মূল্যায়ন করেছে।

চাহিদার মৌলিক খরচের মধ্যে রয়েছে দৈনিক খাদ্য খরচ, সাপ্তাহিক খাদ্য খরচ, মাসিক অ-খাদ্য খরচ, বার্ষিক অ-খাদ্য খরচ, শিক্ষা ব্যয়, স্বাস্থ্য ব্যয় এবং গৃহস্থালির টেকসই পণ্য ইত্যাদি।