আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করছেন।

আজ সোমবার তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এমন দাবি করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অন্যান্য প্রশ্নের মতো জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়েও বিএনপি মহাসচিব কখনও কোনও প্রশ্নেরই জবাব দেন না। প্রশ্ন করলে মূল প্রসঙ্গ এড়িয়ে সামঞ্জস্যহীন জবাব দেন। জিয়াউর রহমানের লাশ নাকি জেনারেল এরশাদ কাঁধে বহন করেছেন। এ ধরনের উত্তর দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করেন ফখরুল সাহেব।

সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এরশাদ কফিন বহন করেছেন কিন্তু ভেতরে জিয়ার লাশ আছে- তাতো তিনি কখনো বলেননি। জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে তার লাশ রাঙ্গুনিয়া পাহাড়ে নিয়ে গিয়েছিল কে?

‘পরাশ্রয়ী আন্দোলন নির্ভর’ বিএনপি দেশের বিদ্যমান স্থিতি নষ্ট করতে নানামুখী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা আগেই আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, ষড়যন্ত্রের জাল বোনা হচ্ছে ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করতে। করোনার ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন ঠুনকো অজুহাতে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার নোংরা রাজনীতি করছে বিএনপি।

সাম্প্রদায়িক দানবদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অতিদানবীয় অপতৎপরতা চালাচ্ছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা সরকার নয়, বিএনপিই হচ্ছে আসল দানবীয় শক্তি। শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ জনমানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এনে দিয়েছে। আর বিএনপি এনে দিয়েছিল পরনির্ভরতার শৃংখল।

সম্প্রতি চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কর্মসূচি পালনে পুলিশ সহযোগিতা করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা কোনও আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে সংঘাতের মাধ্যমে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী, সরকার সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পক্ষে এবং শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সহযোগিতা করে আসছে, ভবিষ্যতেও করে আসবে। কিন্তু কর্মসূচিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের উপাদান যুক্ত হলে জনস্বার্থে পদক্ষেপ নিতে হয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আন্দোলনের এখন আর কোনও অবজেক্টিভ শর্ত বিরাজমান নেই। বিএনপির সাবজেক্টিভ প্রস্তুতি কী আছে- তা গত একযুগ ধরে মানুষ দেখে আসছে। বিএনপির আন্দোলন এখন কথা নির্ভর মিডিয়া সর্বস্ব। শীত-গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন বিএনপি শরতে এসে সরকার হটানোর দিবা স্বপ্ন দেখছে।