কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে বিএসএফের হাতে নাগেশ্বরীর কিশোরী ফেলানী হত্যার এগারো বছর আজ। এত বছরেও কাঙ্ক্ষিত বিচার পায়নি পরিবার। আজ নিজ বাড়িতে পালন করা হচ্ছে তার ১১ম মৃত্যুবার্ষিকী।

এদিকে গত কয়েক বছর এদিনে ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করলেও এবারে ৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় ফেলানীর কবর জিয়ারত ও সেখানে সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকাস্থ নাগরিক পরিষদ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন।

তিনি জানান, এ সমাবেশের মাধ্যমে তারা ফেলানী হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের ফাঁসি, ফেলানীর পরিবারসহ সীমান্ত আগ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তি ও তাদের পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন পার্ক রোডের নাম ফেলানী সরণি রাখার দাবি জানাবেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর বিশ্বব্যাপী সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও ৭ জানুয়ারি ফেলানী দিবস পালনের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর ২০১৫ সালে তারা একটি স্মারকলিপি প্রদান করেছিলেন। পরবর্তীতে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয় এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের সদস্য যে কোনো রাষ্ট্রকে প্রস্তাব আনতে হবে।