মোবাইল ফোনে একটি কল আসার পর বাসা থেকে বের হওয়া মুসলিমা খাতুনের (২০) মস্তকহীন বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে খুলনার ফুলতলার উত্তরডিহি গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত মুসলিমা দামোদর গ্রামের মো. শহিদুল হকের বাড়ির ভাড়াটিয়া ও ভ্যানচালক মো. এমদাদুল হক গাজীর মেয়ে। মুসলিমা আইয়ান জুট নামে একটি মিলের শ্রমিক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম জানান, ভোরে গ্রামের কৃষক রেজা সরদার পানি দেওয়ার জন্য উত্তর মাঠে গিয়ে রবিউল মল্লিকের ধান ক্ষেতে বিবস্ত্র ও মস্তকহীন লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

এদিকে নিহত মুসলিমার মেজো বোন আকলিমা খাতুন (২৩) জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মোবাইলের কল পায় মুসলিমা। এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর ফেরেনি। মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোনের লাশ শনাক্ত করেন। এ সময় প্রতিবেশী সালেহা বেগম (৪৫) সঙ্গে ছিলেন। লাশের পরনে কোনও বস্ত্র ছিল না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত দেখতে পাওয়া যায়। তাকে ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতন করে খুন করা হতে পারে।

তিনি বলেন, ‘দুই বছর আগে যশোরের প্রেমবাগ এলাকায় জনৈক সাগরের সঙ্গে মুসলিমার বিয়ে হলেও ছাড়াছাড়ি হয়। তখন থেকে সে আইয়ান জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করছে।’

ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার জানান, ধানক্ষেত থেকে একজনের বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিছিন্ন মাথা পাওয়া যায়নি।