পিঙ্ক সিটি খ্যাত শহর তুলুজ ফ্রান্সের তৃতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক শহর তুলুজের মেয়র জঁ-লুক মুদাংকের সাথে বৈঠক করেছেন ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। এ সময় মেয়ের জঁ-লুক বলেন, তুলুজ সিটি অফিস বাংলাদেশ সম্প্রদায়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবদানকে স্বীকার করে। তিনি বাংলাদেশিদের নাগরিক চাহিদাকে সব ধরনের সম্ভাব্য উপায়ে সমর্থন করার আশ্বাসও দেন।
এ সময়ে মেয়রকে তুলুজে একটি বাংলা স্কুল, একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশিদের জন্য একটি মসজিদ নির্মাণে আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা। এর জবাবে মেয়র তার অফিসের পূর্ণ সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন রাষ্ট্রদূতকে।
ফ্রান্সে প্যারিস শহরের বাইরে এটাই রাষ্ট্রদূতের প্রথম সফর। তিনি মেয়রকে তার শহরে একটি বিনিয়োগ সেমিনার এবং একই সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য প্রদর্শনী করার প্রস্তাব দেন। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তির উদযাপন নিয়েও আলোচনা করেন রাষ্ট্রদূত।
তুলুজ সফরকালীন সময়ে কমিউনিটি ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব ও দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাসেম ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর দিলারা বেগম।
বৈঠকে কমিউনিটি ও ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইস্কান্দার আলী, জাহেদ হোসেন নান্নু, ফেরদৌস খান, ইমরান হোসেন, হামিদুর রহমান, আবুল কালাম, আলী হোসেন, নাজির হোসেন লিটন, এহসান আহমেদ টিটু, সুবেল আহমেদ, ফয়সাল আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, সুমন আহমেদ, ফরহাদ হোসেন প্রমুখ ।
এ সময় রাষ্ট্রদূত প্রবাসীদের সমস্যাগুলি মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং লিখিত আকারে নোট করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ফ্রান্সে প্রবাসীদের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক গুন বেড়েছে, কিন্তু আমাদের জনবল সেই আগের মতই আছে। তথাপি আমরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সকল বিষয়গুলো যাচাই বাছাই করছি এবং সুন্দর একটি সমাধানের চেষ্টা করছি।
তিনি দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার কাজের সিস্টেম আপডেট করে দিলে অবশ্যই আমরা তুলুজে কাউন্সিলর সার্ভিসের কথা চিন্তা করব।