প্রথম টেস্টে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে অন্য রুপ দেখা মিললো নিউজিল্যান্ডের।প্রথম দিন হ্যাগলি ওভালের যে মাঠে ইনিংস শুরু করাই দুষ্কর। সেখানে কিউই ব্যাটাররা ব্যাটিং বীরত্বই দেখালেন না। পূর্বের নজিরকেও পেছনে ফেলেছেন। তাতে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের পথে ছুটছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দিন শেষে কিউইদের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪৯।

কিউইদের ব্যাটিং বীরত্বের কথা শেষ সেশন থেকেই আন্দাজ করা যাবে। ৩৬ ওভার বল হয়েছে, যোগ হয়েছে ১৪৭ রান! কিন্তু কোনও উইকেট ফেলতে পারেনি সফরকারীরা। তাতে শুধু মুমিনুলদের হতাশাই বেড়েছে। টম ল্যাথাম অপরাজিত আছেন ১৮৬ রানে, খেলেছেন ২৭৮ বল। ডেভন কনওয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। ১৪৮ বল খেলে অপরাজিত আছেন ৯৯ রানে। এই জুটিতেই যোগ হয়েছে ২০১ রান। যারা খেলেছে ৩১২টি বল।

টস হেরেও শুরু থেকে বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিকরা। দুই সেশন মিলে পেয়েছে মাত্র একটি উইকেট। প্রথম সেশন উইকেটশূন্য থেকে লাঞ্চের পর পাওয়া গেছে শুধু উইল ইয়ংয়ের উইকেট। শরিফুল ইসলামের বলে নাঈম শেখের হাতে ধরা পড়েন এই ওপেনার। তাতে ভাঙে ১৪৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। ফেরার আগে অবশ্য হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে যান ইয়ং। ১১৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান করেছেন। অথচ এই মাঠেই সেরা উদ্বোধনী জুটিটি ৩৭ রানের। সেখানে অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছে কিউইরা।

যার ফলে ৯০টা ওভার শুধু হতাশাতে কেটেছে বাংলাদেশের। ভাগ্যও সঙ্গে ছিল না। এক ওভারে, আরও স্পষ্ট করে বললে ৪ বলের মধ্যে দুইবার বেঁচে যান ল্যাথাম! তাসকিন আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম যখন উইকেট এনে দিতে পারছিলেন না, মুমিনুল হক বল তুলে দেন এবাদত হোসেনের হাতে। আগের টেস্টের নায়ক দ্বিতীয় বলেই এনে দিয়েছিলেন ‘উইকেট’। কিন্তু হায়, ফিল্ড আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলেও রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ল্যাথাম। ওই ওভারের পঞ্চম বলে আবারও ব্যাটার ল্যাথাম, আবারও ফিল্ড আম্পায়ারের এলবিডব্লিউয়ের আউটের সংকেত। কিন্তু কিউই অধিনায়ক রক্ষা পান রিভিউয়ে।

টম ল্যাথামের চমৎকার ব্যাটিংয়ের পেছনে আছে সৌভাগ্যের ছোঁয়াও। রিভিউ নিয়ে রক্ষা এবং বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসে ইনিংস লম্বা করতে পেরেছেন কিউই অধিনায়ক। বাংলাদেশের বোলারদের শাসন করে ১৩৩ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। অপেক্ষায় আছেন ডাবলসেঞ্চুরির।

দিনের শুরুটাও মুমিনুলদের ছিল না। কুঁচকির চোটে ছিটকে গেছেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তার জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আরেকটি পরিবর্তন অনুমতিই ছিল। চোটের কারণে ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ও নেই। তার জায়গায় টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়ে গেছে নাঈম শেখের।