উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে হঠাৎ করেই বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। এতে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চলে বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আজ শুক্রবার (১লা জুলাই) দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ আশঙ্কার কথা জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উজানে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় এ অঞ্চলের কতিপয় নদী সুরমা, কুশিয়ারা, যদুকাটা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরির পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোইা জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করতে পারে।

উজানে এবং দেশের ভেতরে গত তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে দেশের নদ-নদীর পানির স্তর ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই বৃষ্টি ক্রমাগত হতে থাকলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে আবারও পানি বাড়ছে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীতে। পানি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তার ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এছাড়া ধরলা, সানিয়াজান, স্বর্নামতিসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টি হচ্ছে দেশে। সেইসাথে ভারতের উজানে বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিস্তায় পানি বাড়তে  শুরু করে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টার পরিমাপে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।

এ অবস্থায় তিস্তা নদীর পানি নিয়ন্ত্রণে ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে। এর ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার লোকজন রয়েছেন আতঙ্কে।

তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা ও পদ্মা নদ-নদীগুলোর পানি কমছে। অপরদিকে গঙ্গা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে। যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।