বিশ্বে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়ছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর সারা বিশ্বে এক কোটির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি হয়েছে। ২০২১ সালের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় ৫৫ শতাংশ বেশি। চলতি বছর এ সংখ্যা আরও বাড়বে। কার্বণ নিঃসরণের হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বড় অর্থনীতির দেশগুলো এ খাতে বিনিয়োগ ও প্রণোদনা বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যানার্জি এজেন্সি-আইইএ।
খনিজ জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে, বিশ্বজুড়ে তেল চালিত ইঞ্জিন গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ির উৎপাদন ও ব্যবহার। গত বছর বিশ্বের সড়কগুলোতে দুই কোটি ৬০ লাখের বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচল করেছে। ২০২২ সালেই বিক্রি হয়েছে এক কোটির বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যানার্জি এজেন্সি-আইইএ’ তথ্য অনুযায়ী- বিশ্বে গাড়ির বাজারে দুই বছর আগেও বৈদ্যুতিক গাড়ির অংশিদারিত্ব ছিলো মোট চাহিদার মাত্র ৪ শতাংশ। চলতি বছর তা ১৮ শতাংশ হবে।ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে মোট গাড়ি বিক্রির এক-চতুর্থাংশই হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি।এর মধ্যে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হবে অন্তত ৪০ শতাংশ।
পরিবেশবান্ধব খাত হিসেবে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি ও বিক্রির ক্ষেত্রে নীতিগত সহায়তা ও প্রণোদনা দিচ্ছে বিভিন্ন বড় অর্থনীতির দেশ। বর্তমান সারা বিশ্বের যে পরিমাণ বৈদ্যুতিক গাড়ি চলে তার অর্ধেকই চীনের তৈরি। দেশটির দাবি, ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের মোট উৎপাদনের ২০ শতাংশ হবে বৈদ্যুতিক গাড়ি। এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলে চলা গাড়ির উৎপাদন শূন্যেনামিয়ে আনবে চীন।
যুক্তরাষ্ট্রও বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকে মনোযোগী হচ্ছে। এ খাতে উৎপাদন ও বিক্রিতে প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এছাড়া, ২০৩৫ সালের মধ্যে জ্বালানী চালিত গাড়ির ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ক একটি নতুন আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপিয় ইউনিয়ন।
এই নীতি সহায়তা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে মোট বিক্রির ৩৫ শতাংশ বৈদ্যুতিক গাড়ি হবে বলে জানিয়েছে আইইএ। বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারের এই স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে সেসময় প্রতিদিন ৫০ লাখ ব্যারেল তেলের ব্যবহার কমবে।