যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিয়ে নিয়েছেন, তাদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে না।
ওষুধ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।
বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব নাগরিক দুই ডোজ টিকা নিয়ে নিয়েছেন, তাদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে না।
এর আগে করোনার টিকার তৃতীয় ডোজের (বুস্টার ডোজ) অনুমোদন চাওয়ার পরিকল্পনা করছিল বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানি ফাইজার।
করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে যাওয়া এবং টিকা নেওয়ার ছয় মাস পর পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণের ওপর ভিত্তি করে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল সংস্থাটি।
ওই মুখপাত্র আরও বলেন, ফাইজার তাদের সব তথ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ব্রিফ করেছে। যদি বুস্টার ডোজ ভবিষ্যতে প্রয়োজন হয় তবে উভয়পক্ষ আলোচনা অব্যাহত রাখবে।
এরপর ফাইজার জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা ‘আরও সুনির্দিষ্ট তথ্য’ প্রকাশ করবে।
বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের দাপট। যা প্রথম শনাক্ত হয়েছিল ভারতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার দুই ডোজ নেওয়া ব্যক্তিরা ফের আক্রান্ত হলে যদি তাদের হাসপাতালে যেতেই হয় অথবা অত্যধিক হারে তাদের মৃত্যু হয় তবে অবশ্যই বুস্টার ডোজের প্রয়োজন হবে।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার ধনী দেশগুলো যেন বুস্টার ডোজ না কেনে সে জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।
সংস্থাটির মতে, যেখানে বিশ্বের বহুদেশের মানুষ করোনার এক ডোজ টিকাও পায়নি, সেখানে টিকার দুই ডোজ পাওয়া মানুষের জন্য ধনী দেশগুলোর বুস্টার ডোজ কেনা উচিত হবে না।