তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কলেজপাড়ার একটি এতিমখানায় হামলা করেছে স্থানীয়রা। এতে এতিমখানার অন্তত ৩১ জন শিশু আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের কলেজপাড়াস্থ মদিনাতুত তাহফিজ একাডেমি ও এতিমখানায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত শিশুদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। হামলার সময় এতিমখানায় লুটপাট করা হয় বলে অভিযোগ করেন কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলো সালমান ফারসি (৯), নাদিম (১০), ওসমান (১০), সামাউন (১০), আব্দুল্লাহ (১৩), জাকারিয়া (৯), ইব্রাহিম (১৫), সাইদুল ইসলাম (১১), ফরহাদ (৯), মুজাম্মেল (১৪), জাহিদ (১৩), জুনায়েদ (১৩), ইয়ামিন (৯), ইসমাইল (১১), আমির হামজা (১২), ওমর ফারুক (১০), আসাদ উল্লাহ (১২), রিফাত (১৩), ওয়াসিম (১২), সিয়াম (১৩), ফজলে রাব্বী (১৪), সালমান (১৭), তোফাজ্জল (১৩), রেদুয়ান (১০), মোবারক (১৪), সালমান ফারসি (১৬), আকিব (৮), তানভীর (১৪), সিয়াম (১৪), আশরাফুল (১০) ও রাকিব (১০)।

মদিনাতুত তাহফিজ একাডেমি ও এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মো. ইমরান সাংবাদিকদের জানান, এতিমখানার পাশে খালি জায়গায় খেলাধুলা করছিল শিশুরা। এসময় ক্রিকেট খেলার বল স্থানীয় এক ছেলের গায়ে লাগে। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। শিশুরা মাগরিবের নামাজের আগে ফিরে এসে ওজু করে নামাজের প্রস্ততি নিচ্ছিল। এ সময় দলবেঁধে স্থানীয় নারী-পুরুষরা এতিমখানায় হামলা করে শিশুদের পিটিয়ে আহত করেন। পাশাপাশি তারা শিশুদের খাবারসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসেছি। শিশুদের চিকিৎসা শেষে মাদ্রাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফয়সাল (৩৫) ও জাহিদুল ইসলাম (৩২) নামের দু’জনকে আটক করা হয়েছিল। পরে রাতে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়।