ভবিষ্যতের সকল নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম এবং কবিতা খানম বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আশা ব্যক্ত করেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, সাক্ষাৎকালে নির্বাচনি কার্যক্রমসহ কমিশনের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম ও উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা হয়। তারা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় রাষ্ট্রপতিকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ সম্বলিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হয় এবং প্রধান নির্বাচন কমিশনার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ ও জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১ এর বাংলা পাঠ রাষ্ট্রপতিকে হস্তান্তর করেন।
প্রেস সচিব জানান, রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ, রাজনৈতিক দল ও জনসাধারণের সহযোগিতা নিয়ে কাজটি সম্পন্ন করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে সকল রাজনৈতিক দল ও জনগণের সহযোগিতায় নির্বাচন কমিশন স্থানীয় পর্যায়সহ সকল নির্বাচন আরও সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে সক্ষম হবে।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন ইসির মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি)। আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সার্চ কমিটি নতুন ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশে কাজ করছে। সার্চ কমিটির হাতে ইসি গঠনে সময় রয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর যাচাই-বাছাই করে আইনের বিধান অনুসারে যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে পাঁচ জনকে নিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি। সেটিই হবে স্বাধীনতার পর প্রথম আইন দ্বারা গঠিত নির্বাচন কমিশন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।