চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে কৌশলে অপহরণ করার অভিযোগে মো. ফরহাদ (২২) নামে একজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। জানা যায়, বড় ভাইয়ের প্রেমিকাকে অপহরণ করে বিশেষ কৌশলে বিয়ে করেছে আটক ফরহাদ।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার কানন আবাসিক এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।
আজ রোববার র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার বলেন, ফয়সাল ও ফরহাদ আপন দুই ভাই। নবম শ্রেণির ছাত্রী ভিকটিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে ফয়সালের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ভিকটিম গত ১২ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা দেওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ফয়সালের কথামত তার ভাই ফরহাদের সঙ্গে সাগরপথে চট্টগ্রাম চলে আসে। ভিকটিমের সঙ্গে ফয়সালের কথা ছিল চট্টগ্রাম আসার পর তাকে বিয়ে করবে। কিন্তু ভিকটিমকে অপহরণের ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ ফয়সালকে আটক করে। এরপর ফয়সাল ও তার পরিবারের সদস্যরা আসামি ফরহাদকে ভিকটিমকে ফিরেয়ে সন্দ্বীপে নেওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু ফরহাদ ভিকটিমকে নিয়ে ফিরে যায়নি।
র্যাব কর্মকর্তা আরও বলেন, সে প্রথমে হাটহাজারী সন্দ্বীপপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয় ও ভিকটিমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে তারা ছলিমপুর ছিন্নমূলের এক কথিত কাজীর সহায়তায় বিয়ে করে। ১২ ফেব্রুয়ারি টিকা দিয়ে ভিকটিম ফেরত না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
একপর্যায়ে জানতে পারে ফরহাদ ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ভিকটিমকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারি পরিবারের সদস্যরা সন্দ্বীপ থানায় মামলা করেন। মামলা দায়ের পর থেকে ভিকটিম উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটকের লক্ষ্যে র্যাব কঠোর নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বায়েজিদ থেকে ফরহাদকে আটক ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
র্যাবের ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ফরহাদ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে অসৎ উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে অপহরণ করে আত্মগোপন করেছিল।