তারকা ঠাসা দল ভারতের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিটও! আর সুপার টুয়েলভে সেই দলটিকেই কিনা একপেশে ম্যাচে ১০ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান।

দুবাইয়ে ১৫২ রানের লক্ষ্য ছুঁড়েও পাকিস্তানকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। বরং অধিনায়ক বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ১৫২ রানের অপ্রতিরোধ্য ওপেনিং জুটি বুমরাহ-সামিদের শাসন করেছে শুধু। বাবর ৫২ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাতে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। সঙ্গী রিজওয়ানতো আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন। ৫৫ বলে ৭৯ রান করেন ৬টি চার ও ৩টি ছয়ে। দুই ওপেনার মিলে জয় নিশ্চিত করেন ১৭.৫ ওভারে।

রাজনৈতিক বৈরিতায় দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মুখোমুখি হওয়া হয় না দ্বিপাক্ষিক সিরিজে। তাই আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিলেন দুই দলের অধিনায়ক বাবর আজম ও বিরাট কোহলি। কারণ দুজনেরই ধারাবাহিকতা বিস্ময়কর! তাদের মাঝে শেষ পর্যন্ত নায়কের বেশে মাঠ ছাড়লেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

অথচ ভারতকে ১৫১ রানের পুঁজি পাইয়ে দিতে কোহলির অবদান কম ছিল না। উত্তেজনা ছড়ানো ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামা দলটি চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়তে পারে ভারতীয় অধিনায়কের কারণেই।!

অতীত পরিসংখ্যান বলছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আগের ৫ ম্যাচের ৫টিতেই ভারতের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ভারত টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলে মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি ভাগ্য বদলের মিশনে নেমেছে বাবর আজমরা। তিন ওভারের মাঝে দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে সেই বার্তাই দেন পেসার শাহীন আফ্রিদি।

সেই ধাক্কা সূর্য কুমার যাদবও সামাল দিতে পারেননি! হাসান আলী তাকে বিদায় দিলে পাওয়ার প্লেতেই ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা।

ভারতের পরিস্থিতি তখন এমন যে, মোক্ষম সময়েই রানের চাকা সচল ছিল না। কঠিন এই পরিস্থিতি থেকে দলকে উদ্ধার করেছেন মূলত ঋষভ পান্ত ও বিরাট কোহলি। এ দুজনের ৫৩ রানের জুটি সচল করে স্কোরবোর্ড। ৩০ বলে ৩৯ রান করা পান্তকে বিদায় দিয়ে জুটি ভাঙেন শাদাব খান। তার পরেও রাশ হাতছাড়া হতে দেননি কোহলি। রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ৪১ রানের জুটি।

জাদেজা ফিরলেও দায়িত্বের সঙ্গে দলের পুঁজি সমৃদ্ধ করেছেন কোহলি। বিদায় নেওয়ার আগে ৪৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন। যাতে ছিল ৫টি চার ও একটি ছয়। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ভারত করতে পারে ১৫১ রান।

৩১ রানের বিনিময়ে তিনটি উইকেট নেন শাহীন। ম্যাচসেরাও দিনি। ৪৪ রানে দুটি নেন হাসান আলী। একটি করে নিয়েছেন হারিস রউফ।