নাবালিকাকে গণধর্ষণের পর বিশেষ অঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল ধারালো অস্ত্র। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের অলওয়ার জেলায়। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ১৬ বছরের ওই নাবালিকা।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই নাবালিকাকে তিলজারা উড়ালপুলের নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। অভিযোগ, গণধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে ধারালো অস্ত্র ঢুকিয়ে বীভৎস নির্যাতন করা হয়। এরপর ফ্লাইওভার থেকে নীচেও ফেলে দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার নাবালিকাকে উদ্ধার করে অলওয়ারের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। সেখান থেকে জয়পুরের জেএন লোক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বুধবার আড়াই ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন নির্যাতিতা। তবে তার অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার শরীরে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন অঙ্গ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোপনাঙ্গ থেকে ধারালো অস্ত্রও বের করেছেন চিকিৎসকেরা।

এই ঘটনায় অভিযুক্তদের এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের ২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা ৩০০-এর বেশি সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজস্থানের মহিলা এবং শিশুবিকাশ দফতরের মন্ত্রী মমতা ভূপেশ আশ্বাস দিয়েছেন, অভিযুক্তদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে। নাবালিকার পরিবারকে ৬ লাখ রুপি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। নাবালিকার পরিবারের লোকেরা দিনমজুরের কাজ করেন।

সূত্র: আনন্দবাজার