সমস্যাটা মৌসুমের শুরুর দিকে নিত্যদিনের বিষয়ই হয়ে দাঁড়িয়েছিল। লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর বার্সেলোনার গোল, আর গোলের সুযোগ সৃষ্টি দুটোতেই পড়েছিল ভাটার টান। ধীরে ধীরে সে সমস্যা কাটিয়ে উঠছিল দলটি, তবে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় পাচ্ছিল না গোল। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মিলল তার সমাধানও। পিয়েরে এমেরিক অবামেয়াংয়ের জোড়া গোল আর ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং-পেদ্রি গনজালেসের লক্ষ্যভেদে ৪-১ গোলের দারুণ এক জয়ই তুলে নিয়েছে কোচ জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা।
ভ্যালেন্সিয়ার মাঠ মেস্তায়ায় বার্সার শুরুটা অবশ্য এতো সহজ ছিল না। শ্রেয়তর দল ছিল ভ্যালেন্সিয়াই। তবে মিনিট দশেক পেরোতেই বার্সা ধাতস্থ হয় ম্যাচে, সেই একের পর এক আক্রমণের শুরু। তারই ফলটা বার্সা পায় ২৩ মিনিটে। জর্দি আলবার বাড়ানো বল থেকে দারুণ ফিনিশে বার্সার জার্সি গায়ে প্রথম গোলটা করেন অবামেয়াং।
মিনিট দশেক পর দারুণ আক্রমণ শেষে ব্যবধান বাড়ান ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। ৩৮ মিনিটে তৃতীয় গোলের দেখা পেয়ে যায় বার্সা। বক্সের বাইরে থেকে সার্জিনিও ডেস্টের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে উসমান দেম্বেলে পাস বাড়ান বক্সে থাকা পাবলো পায়েজ গাভিকে। তার নিচু ক্রসে পা ছুঁইয়ে বলটা ভ্যালেন্সিয়ার জালে আছড়ে ফেলেন অবামেয়াং।
এর একটু পরই অবশ্য ভ্যালেন্সিয়া বল জড়িয়েছিল বার্সার জালে। তবে কার্লোস সোলের গোলটা পাননি বিল্ড আপে ত্রুটির কারণে। সে আক্রমণে বল বাইরে গিয়েছিল একবার। তবে তা থ্রো ইন না করেই খেলা শুরু করেছিল ভ্যালেন্সিয়া, তাই গোল আর করা হয়নি দলটির৷ বার্সা বিরতিতে যায় ৩ গোলে এগিয়ে।
বিরতি থেকে ফিরেই গোল পায় স্বাগতিকরা। গোল করেন সেই সোলেরই। তাতে ভ্যালেন্সিয়ার ম্যাচে ফেরার আশাও জেগে ওঠে বেশ। তবে সে আশা টিকল কেবল ৯ মিনিট। ৬৩ মিনিটে পেদ্রির আগুনে এক শটে গোল পায় বার্সা। জয়টাও প্রায় নিশ্চিত হয় তখনই। এরপর দুই দলই আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে উঠেছে। তবে গোলের দেখা পায়নি, ফলে বার্সা ৪-১ ব্যবধানের দুরন্ত এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এতে টানা দুই ড্রয়ের পর জয়ে ফিরল বার্সা। আক্রমণভাগ আর মাঝমাঠের এমন নৈপুণ্য দলটাকে আশাও দেখাচ্ছে বেশ। আসছে বৃহস্পতিবারই যে ইউরোপায় ন্যাপোলির মুখোমুখি হবে জাভির শিষ্যরা।