মগবাজারের ওয়্যারলেস গেটে বিকট শব্দে ঘটা বড় আকারের বিস্ফোরণের উৎসস্থলের ভবনটি যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযানে নিয়োজিত থাকা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা এ আশঙ্কার কথা জানান।

তিনি জানান, এটি এই মুহূর্তে চরম ঝুঁকিপূর্ণ একটি জায়গা। আমরা নিজেরাও ঝুঁকির মধ্যে কাজ করছি। উৎসুক জনতা যারা আছেন তারা একটু দূরে অবস্থান নিলে ভালো হয়। এই কর্মকর্তা আরও জানান, ওয়ারলেস গেটের কাছে যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটির নিচতলা অনেকাংশে দেবে গেছে। এই ভবনে থাকা শরমা হাউজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এর নিচ তলায় বেঙ্গল মিটের একটি শোরুম ছিল। সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিস্ফোরণ কী কারণে হয়েছে, আপনাদের ধারণা কী? এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, এটি এখনো আমরা কোনোভাবেই ডিটেক্ট করতে পারছি না। তবে ধারণা করছি এটি গ্যাস জমে থাকার কারণে কোনো বিস্ফোরণ হতে পারে। তবে এটি এমন এক বিস্ফোরণ, আমরা এ যাবৎ এমনটা দেখিনি। বাংলাদেশে এটা আর কখনো হয়নি।

রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মগবাজার ওয়্যারলেস গেটের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৭টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। রাস্তায় থাকা আল মক্কাসহ ২টি বাস ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাসের অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। ঘটনায় মোট আহত ৫০ জনের বেশি। মারা গেছেন অন্তত ৬ জন।

বার্ন ইউনিট পরিস্থিতি, যা যা বললেন সামন্ত লাল

মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজনকে মৃত অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন।

রোববার (২৭ জুন) রাত ১০টায়  তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মর্মান্তিক এ  দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জনকে আমাদের এখানে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। তিনজন ছিলেন দগ্ধ। এর মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে, একজনকে এসডিইউতে রাখা হয়েছে।

সামন্ত লাল সেন বলেন, মগবাজারের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মোট ১৭ জনকে আমাদের এখানে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আমরা মৃত অবস্থায় পাই। তিনজন ছিলেন দগ্ধ। এর মধ্যে দুজনকে আইসিইউতে, একজনকে এসডিইউতে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থা খুবই খারাপ। নাইনটি পারসেন্ট বার্ন। তাদের সম্পর্কে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। বাকি আহতরা যারা আছেন, তাদের কারও পা কাটা গেছে, কারও পা ভেঙে গেছে।

কী কারণে তারা দগ্ধ হয়েছে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলা যাচ্ছে না।