কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখায় অভিযুক্ত ইকবাল হোসেনের (৩৫) বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। তিনি মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় গ্রেফতারে সময় লাগছে বলে দাবি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। তবে এই যুবক নজরদারিতে রয়েছে এবং দেশেই আছে বলে নিশ্চিত করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, কুমিল্লার নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপ এলাকার সবকটি সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ইকবালকে শনাক্ত করা হয়। এরপর তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর রাত ২টা ১০ মিনিটের দিকে মসজিদ থেকে এক যুবক পবিত্র কোরআনের মতো একটি গ্রন্থ নিয়ে বেরিয়ে আসছে। এরপর মন্দিরের দিকে যায় সে। তখন তাকে চারপাশে তাকাতে দেখা যায়। রাত ৩টা ১২ মিনিটে একই যুবক মন্দিরের পাশের একটি পুকুরপাড়ে হনুমান সেজে কাঁধে গদা নিয়ে হেঁটেছে।
ইকবাল হোসেনের বিষয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে তার স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে পূজামণ্ডপে অপ্রীতিকর ঘটনার পর থেকে সে নিখোঁজ। তার বাবার নাম নূর আহমেদ আলম। তাদের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ড দ্বিতীয় মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকায়।
কুমিল্লার একজন পুলিশ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ইকবাল হোসেনের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। তার একটি রাজনৈতিক আদর্শও রয়েছে। সেই বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তার অতীত অপরাধের ইতিহাসও ঘেঁটে দেখছি আমরা।’
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সব তথ্য-প্রমাণ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) বিস্তারিত জানানো হবে। আমরা এখনও কাজ করছি।’
গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কুমিল্লার কোতোয়ালী মডেল থানায় পাঁচটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি থানায় একটি মামলা হয়েছে। ৯১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত অর্ধশত মানুষকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-পুলিশ।