মারিয়া আনহেলেস পেরেস লোপেস ([María Ángeles Pérez López] বাইয়াদোলিদ [Valladolid], স্পেন, ১৯৬৭) কবি এবং সালামান্কা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিস্পানিক-আমেরিকান সাহিত্যের অধ্যাপক। সেখানে তিনি কাজ করছেন স্পেনিশ ভাষায় সমসাময়িক কবিতা নিয়ে। ইতোমধ্যে তাঁর কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর সর্বশেষ বইটা হল শিল্পী গাব্রিয়েল বিনিয়ল্স্-এর সহযোগিতায় রচিত মাপাস দে লা ইমাহিনাসিয়ন দেল্ পাহারো ([Mapas de la imaginación del pájaro ’] ২০১৯)। তাঁর কবিতা সঙ্কলন প্রকাশিত হয়েছে কারাকাস, মেক্সিকো সিটি, কীতো, নিউ ইয়র্ক, মন্তেররেই এবং বোগোতা থেকে। এছাড়াও, দ্বিভাষিক সঙ্কলন বেরিয়েছে ইতালি ও পর্তুগাল থেকে। তিনি উত্তর আমেরিকান স্পেনিশ ভাষা একাডেমির করেস্পন্ডিং সদস্য, হুগলারেস দে ফন্তিভেরোস একাডেমি (la Academia de Juglares de Fontiveros)’র সদস্য, এবং সান হুয়ান দে লা ক্রু (San Juan de la Cruz)-কে তাঁর নিজের শহর হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

ভাষান্তর: জ্যোতির্ময় নন্দী

আমি অঙ্গের প্রতিটি ভঙ্গিমা বিলম্বিত করার দাবি জানাচ্ছি,
দুই পায়ে সুখী ধীরগতির
যদি আমার ঘাড়ের পেছনে সব রোদ পড়ে
আর তার স্পর্শ যদি হয় পুষ্টিকর
আর আনন্দের গোপন অভিযাত্রা
রক্তে অনুভবের জন্যে যথাযথ।

প্রতিটি মিনিট আমি বিলম্বিত করার দাবি জানাচ্ছি
দুটো পা ধীরে ধীরে চালানোর জন্যে
সূর্য যদি বিকেলে আমাকে আগুনে পোড়ায়
এবং তাড়াহুড়োর সময়টা হয় গৌণ
যদি তোমার চিরায়তে একটি মুহূর্ত আসে
তার বহুবর্ষজীবী অবস্থা আর পরাভব ছাড়াই।

আমি অসম্ভব চিরস্থায়িত্বের দাবি জানাচ্ছি
গ্রীষ্ম বাতাসে ছড়িয়ে দেয়া একটি বাহুর,
যে-হাতটা নাড়ালে দূরে সরে যায়
দেহ থেকে পড়ে না গিয়ে ভেসে থাকে
মৃত্যুকালে মাটি থেকে বিচ্ছিন্ন
হতাশ্বাস লাশের মতো
কিছু নিয়মকানুন আর শীতে প্রণীত আইনগুলো
সরাসরি অস্বীকার করতে।

আমি সুন্দর উপলক্ষ দাবি করছি
চলে যেতে বিকেলের প্রান্তসীমার
স্থায়িত্বে, ধ্বংসস্তূপ থেকে বহু দূরে
আলোর বিপরীতে সিল্যুয়েট হয়ে যাওয়া
প্রতিসারী শরীরের স্থিরতায়।

আমি কিনারাহীন মিনিটগুলো দাবি করছি
সবকিছুই দাবি করছি এই জেনে।

(দে কার্নালিদাদ দেল ফ্রিয়ো [ de Carnalidad del frío বা ‘শৈত্যের ইন্দ্রিয়পরায়ণতা নিয়ে’] ২০০০)