উইন্ডশিল্ডে ক্র্যাক বা ফাটল ধরে মালয়েশিয়ায় গ্রাউন্ডেড হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৩৭ -৮০০ উড়োজাহাজ। যার কারণে ঢাকা থেকে যাওয়া উড়োজাহাজটি নির্ধারিত সময়ে ফিরতি ফ্লাইটে যাত্রীদের আনতে পারেনি। উইন্ডশিল্ড পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বিমানের একটি প্রকৌশল দল।
জানা গেছে, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে ক্যাপ্টেন শাখওয়াত হোসেইন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। উড়োজাহাজটি ছিল লিজে আনা পুরাতন বিমান বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ (রেজিস্ট্রেশন এস২-এএফএম)। লিজের উড়োজাহাজ ফেরত দেওয়ার খরচ ও জটিলতা এড়াতে দায়ে পড়ে কেনা ২টি উড়োজাহাজের একটি এটি। উড়োজাহাজটির উইন্ডশিল্ডে ফাটল দেখতে পেয়ে ক্যাপ্টেন শাখওয়াত হোসেইন ঢাকায় অবহিত করেন।
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে গ্রাউন্ডেড করা হয় উড়োজাহাজটি। এ কারণে ফিরতি ফ্লাইট বাতিল হয়।
সূত্র জানায়, উড়োজাহাজটি মেরামতের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রকৌশল বিভাগের একটি দল মালয়েশিয়া গিয়েছে। প্রকৌশলীরা উড়োজাহাজের উইন্ডশিল্ড পরিবর্তন করবেন। সব কিছু ঠিক মতো হলে ১৬ ফেব্রুয়ারি উড়োজাহাজটি দেশে ফিরতে পারবে। পুরো কাজটি করতে লাগতে পারে ৮-১০ ঘণ্টা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের সাড়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আয়ারল্যান্ড থেকে ২০০৯ সালে দুটি বোয়িং ৭৩৭ -৮০০ উড়োজাহাজ লিজ নেয়। দুটির রেজিস্ট্রেশন এস২-এএফএল এবং এস২-এএফএম। উড়োজাহাজ দুটি ফেরত দিতে হলে মেরামত করে আগের অবস্থায় করতে যে ব্যয় হবে তার চেয়ে কম টাকা কিনতে পারবে বিমান। এ কারণে ২০০১ সালে তৈরি করা উড়োজাহাজ দুটি ফেরত দেওয়ার পরিবর্তে কিনে নেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। পুরাতন উড়োজাহাজ দুটি কিনতে খরচ প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা।