করোনায় আক্রান্ত হয়ে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। তবে কমেছে দৈনিক শনাক্তের হার। এ সময় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩৮৩ জন, যা গতকাল (শনিবার) ছিল এক হাজার ১৯০ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন, যা গতকাল ছিল ৩৫ জন।

তবে নতুন শনাক্ত ও মৃত্যু বাড়লেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শনাক্তের হার তার আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে কম। এ সময়ে করোনায় রোগী শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৬২ শতাংশ, আর গতকাল ছিল ছয় দশমিক পাঁচ শতাংশ।

রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া এক হাজার ৩৮৩ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৮৩ জন। এই সময়ে মারা যাওয়া ৪৩ জনকে নিয়ে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৭ হাজার ২২৫ জন মারা গেলেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একই সময়ে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৮৮৭ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনাতে আক্রান্ত হয়ে মোট সুস্থ হলেন ১৫ লাখ এক হাজার ৫৪১ জন।

একদিনে করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৪ হাজার ১২৮টি আর নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৪ হাজার ৬২৩টি। দেশে এখন পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৯৪ লাখ ৩৭ হাজার ৬৫৬টি জানিয়ে অধিদফতর জানাচ্ছে, এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ৬৯ লাখ ৬৬ হাজার ৮০৪টি আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা হয়েছে ২৪ লাখ ৭০ হাজার ৮৫২টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাতে রোগী শনাক্তের হার পাঁচ দশমিক ৬২ শতাংশ আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৯৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ।

একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২২ জন আর নারী ২১ জন। দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ৫১২ জন আর নারী মারা গেলেন নয় হাজার ৭১৩ জন। তাদের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে চার জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে নয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন আর ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছে একজন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানাচ্ছে, ৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আছেন ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আট জন, রাজশাহী বিভাগের চার জন, খুলনা বিভাগের ছয় জন, সিলেট বিভাগের দুই জন, রংপুর বিভাগের তিন জন আর ময়মনসিংহ বিভাগের আছেন একজন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৫ জন আর বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন আট জন।