ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা। তাও লিওনেল মেসির ক্যারিয়ারে সবচেয়ে দ্রুততম গোলে। এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে কিছুটা লড়াই করে অস্ট্রেলিয়া। তবে বিরতির পর আর পারলো না। উল্টো আরেকটা গোল হজম করতে হল তাদের। এশিয়া সফরের প্রথম ম্যাচে আজ চীনের বেইজিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে আর্জেন্টিনা। ওয়ার্কার্স স্টেডিয়ামে লিওনেল মেসি ও পেজেল্লার গোলে সকারুজদের ২-০ গোলে হারিয়ে এশিয়া সফর শুরু করল আলবিসেলেস্তেরা।
কাতার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেখানে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলের ব্যবধানে জয়ের পথে প্রথম গোলটি এসেছিল লিওনেল মেসির পা থেকে। আজও অস্ট্রেলিয়াকে ২-০ গোলে হারানোর ম্যাচে প্রথম গোলটি মেসিই করেছেন।
এই ম্যাচ কোনো টিভি চ্যানেলে না দেখানোয় বেশ কায়দাকানুন করেই দেখতে হয়েছে আর্জেন্টিনা ও মেসি ভক্তদের। অনেকে ম্যাচ দেখা শুরুও করতে পারেননি, ততক্ষণে মেসি গোল করেও ফেলেছেন! ম্যাচ শুরু হওয়ার পর দর্শকরা নিজেদের আসনে ঠিকঠাক বসতে না বসতেই মেসি জাদু!
মাঝমাঠের একটু ওপরে বল পেয়ে ট্রেডমার্ক কাঁধের ঝাঁকুনিতে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ছিটকে ফেলে জায়গা করে নিয়ে শট! বক্সের বাইরে থেকে মেসি এমন গোল করেছেন অসংখ্য। আজ যোগ হলো আরেকটি।
ম্যাচের মাত্র ১ মিনিট ২০ সেকেন্ড বা ৮০ সেকেন্ডে করা এই গোলটিই মেসির ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দ্রুততম। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোটা সময় জুড়েই আর্জেন্টিনার কাছেই ছিলো। প্রীতি ম্যাচ হলেও নিজের সর্বোচ্চ শক্তির দলই নামিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি।
৬৮ মিনিটে বদলি নামা পেজেল্লার গোল আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেয় আরো। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
এই ম্যাচে চীনের ফুটবল ভক্তরা আদতে এসেছেন মেসিকে দেখতেই। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের পায়ে যতোবার বল গিয়েছে ততবারই উল্লাসে মেতে উঠেছেন দর্শকরা। মেসিও তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দিয়েছেন দুর্দান্ত এক গোল করেই।
এই ম্যাচ খেলেই মেসির ছুটি কাটাতে যাওয়ার কথা। চীন থেকে ইন্দোনেশিয়াতে যাবে স্কালোনির দল। সেখানে স্বাগতিকদের সঙ্গে প্রীতি ম্যাচ খেলবে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।