প্রথমবারের মতো মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে প্যারিস সেন্ত জার্মেইর মূল একাদশে খেললেন। বিশ্ব সেরা তিন ফুটবলার এক সঙ্গে খেলেও পিএসজিকে জেতাতে পারেনি! উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ‘এ’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই হোঁচট খেতে হয়েছে মাওরিসিওি পচেত্তিনোর দলকে। বেলজিয়ান ক্লাব ব্রুজ ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে তারকায় ঠাঁসা পিএসজিকে।

ইয়ান ব্রেডেল স্টেডিয়ামে বল দখলে বেশ এগিয়ে পিএসজি। আক্রমণও হয়েছে। তবে নিজেদের মাঠে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে ব্রুজরা পাল্টা জবাব দিয়েছে। শুরুতে পিএসজি গোল করলেও সমতায় ফিরতে সময় বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিকরা।

ম্যাচে ঘড়ির ১৫ মিনিটে পিএসজি প্রথম এগিয়ে যায়। বা প্রান্ত থেকে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এমবাপ্পের দারুণ নিচু ক্রসে আন্দের হেরেরা বক্সের ভেতরে থেকে পা চালিয়ে দিয়েছেন অনায়াসে।

২৭ মিনিটে ক্লাব ব্রুজ সমতায় ফেরে। সবলের মাপা নিচু ক্রসে ভানাকেন প্লেসিং করে দিয়ে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোঁটান।

দুই মিনিট পর পিএসজির হয়ে এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলা লিওনেল মেসি গোল পেতে পারতেন। বক্সের প্রান্ত থেকে এই ফরোয়ার্ডের জোরালো শট ক্রস বারে লেগে ফিরে আসলে হতাশই হতে হয়।

এরপর শুধুই ব্রুজদের আধিপত্য। অন্তত তিনটি গোলের আক্রমণ হয়েছে। দুর্ভাগ্য তাদের। গোল ব্যবধান বাড়ানো যায়নি।

৩৩ মিনিটে ব্রুজের ভানাকানের ফ্রি-কিক গোলকিপার নাভাস বা দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। ৩৮ মিনিটে কেটেলারে বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন,গোলকিপার হাত উচিয়ে কোনমতো রক্ষা করেন।

৪৪ মিনিটে ব্রুজদের কেটেলারের ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি ভানাকান।

বিরতির পরও পিএসজির বিপক্ষে লড়াই করেছে ব্রুজরা। পাল্টা-পাল্টি আক্রমণ হয়েছে। ৪৯ মিনিটে ব্রজের হেন্ড্রির প্রচেষ্টা এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।

দুই মিনিট পর এমবাপ্পের জায়গায় ইকার্দি মাঠে নামেন। ৫৩ মিনিটে এই আর্জেন্টাইন সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি। তার আগেই এক ডিফেন্ডার ক্লিয়ার করেন।

৭০ মিনিটে মেসির শট গোলকিপার প্রতিহত করেন। দুই মিনিট পর ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন মেসি। ৭৪ মিনিটে ব্রুজের ল্যাংয়ের ভলি পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে আবারও গোল বঞ্চিত থাকতে হয়েছে।

শেষের দিকে মেসি ও ইকার্দির প্রচেষ্টা চালিয়েও পিএসজিকে জেতাতে পারেনি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুতেই পয়েন্ট হারাতে হলো অন্যতম ধনী এই ক্লাবটিকে। পিএসজির সঙ্গে ড্র করে মাঠ ছাড়াটাও ব্রুজদের জন্য অনেক কিছু।

শুরুর অর্ধে রক্ষণ থেকে আক্রমণে উঠে আসার ‘ট্র‍্যানজিশন’ সময়ে সমন্বয়হীনতার অভাব ভুগিয়েছে পিএসজিকে। তবে দলে নতুন যোগ দেওয়া নুনো মেন্দেজ আসতেই যেন সমস্যার সমাধান খুঁজে পেয়েই গিয়েছিল পিএসজি। ফিনিশিং আরেকটু ভালো হলেই হয়তো কাজ হয়ে যেত দলটির।

সেটা হয়নি। নুনোর কাটব্যাক থেকে মেসির শট ছিল না লক্ষ্যে, বারকয়েক ইকার্দি বনেছেন অফসাইডের শিকার। তাই জয়সূচক গোলটা আর মেলেনি পিএসজির। পিএসজির মেসির চ্যাম্পিয়নস লিগ অভিষেকটা তাই শেষ হয় ড্র দিয়েই।