প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেশি এবং ভ্যাকসিন প্রদানের হার বাংলাদেশের চেয়ে কম হওয়া সত্ত্বে অনেক দেশের নাগরিকদের ব্রিটেনে প্রবেশের অনুমতি মিলছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিষয়টিকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে দাবি করেছেন।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাম রেড লিস্ট থেকে না সরানোর বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যুও হতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশি অনেক লোক ব্রিটেনে যেতে চাচ্ছে। বাংলাদেশি লোক বাদ দিলাম অনেক ব্রিটিশ সেখানে যেতে চাচ্ছে। কিন্তু ব্রিটিশরা ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনের ভয়ে যেতে চাচ্ছে না। ৫ থেকে ৬ হাজার ব্রিটিশ নাগরিক বাংলাদেশে আছে, তারা যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে আছে। আমাদের দেশের লোকদের কথা বাদই দিলাম, আপনার লোকদের যেতে দিন। আপনারা নাগরিকদের প্রতি অবেহেলা করছেন। অথচ সেখানে আফগানদের নিয়ে আসছেন, তারা তো কোনো টিকার একটি ডোজও দেয়নি। তাদের নিচ্ছেন। এটা অযৌক্তিক।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সফরে গিয়ে আমি বলেছি, এটা তুলে নিতে। তাদের কাছে জানতে চেয়েছিলাম প্রতিবেশী দেশ ভারতের কত লোক মারা গেছে কিন্তু তাদের আপনারা যেতে দিচ্ছেন। তারা তখন যুক্তি দিল, আমাদের টিকা কম। তখন আমি বলেছি, তোমরা তো টিকা দাওনি। শুধু বলেছ দেবে। ২৪ কোটি ডোজ টিকা আমরা লাইন আপ করে রেখেছি। ২ কোটি ২২ লাখ টিকা দিয়েছি। প্রথম ডোজ পেয়ে গেছে ২৬ পারসেন্ট। পরিমাণেও তা খুব কম নয়।’

বাংলাদেশকে রেড লিস্টে রাখার বিষয়টি রাজনৈতিক কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হতে পারে, না হলে এমন বৈষম্য হবে কেন? দুনিয়াতে ১৩৫টা দেশ আমাদের চেয়ে কম টিকা দিয়েছে। তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমাদের দেওয়া হচ্ছে না; এটা বৈষম্যমূলক।’

গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে চতুর্থ স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম সরানোর বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ব্রিটেনকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।