বিশ্বনেতারা প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে মামলার প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন ফ্রেন্ডস অব আর্থ। বর্তমানে মামলাটি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারাধীন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের সংগঠন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ইউকের উদ্যোগে আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়ে এমন দাবি জানান ফ্রেন্ডস অব আর্থ এর এই ক্যাম্পেইনার।
২ অক্টোবর শনিবার সাউথ ইস্ট ইংল্যান্ডের ক্লাকটন-অন-সি’র বেলাভূমিতে প্রতিষ্ঠানটির ক্যাম্পেইনার জন ফুলার ‘ক্লাইমেট জাস্টিস ফর বাংলাদেশ’ ক্যাম্পেইনে যোগ দিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, উন্নত দেশগুলো ৮৬ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো মাত্র ১৪ শতাংশ কাবর্ন নিঃসরণ করে জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ধনী দেশগুলোর কারণেই বিশ্বের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে, ধনী দেশগুলোকেই এর দায় নিতে নিতে হবে।
আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে জলবায়ু সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের পক্ষে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই চিত্র আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে তুলে ধরতেই বাস র্যালির করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক তানভীর আহমেদ।
ক্লাবের পরিচালনা পরিষদের সদস্য থার্ড সেক্টর কনসালটেন্ট বিধান গোস্বামী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্তবর্ষ উদযাপনের বছরব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে বাস র্যালির আয়োজন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্যই হলো আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতির বার্তা পৌঁছে দেওয়া। ক্যাম্পেইনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার চৌধুরী হাফিজুর রহমান ও যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।