পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইনে লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ দেওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং যেখানে প্রয়োজন সেখানে বাংলাদেশ তাদের ব্যবহার করবে।

আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে এটিকে আমরা তদবির বলি। যেখানে দরকার হবে সেখানে আমরা তদবির চালাবো।

লবিস্ট নিয়োগ যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘সাধারণ প্র্যাকটিস’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০১৩-১৪ সালে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছিল। ওরা কাজ করছে।

২০১৮ সালে বিএনপি’র লবিস্ট নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো জানি না। তবে তাদের অধিকার আছে আইনি কাঠামোর অধীনে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার। বিএনপি বা অন্য যে কেউ এটি করুক, এটা তাদের মাথাব্যাথা, আমার না।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় অনেক ধাক্কা আসে এবং সব গণতন্ত্র অপূর্ণতা আছে। আমাদের কোথাও যদি কোনো ঘাটতি থাকে, দুর্বলতা থাকে, তবে অবশ্যই আমরা সেটা ঠিক করার চেষ্টা করব।

র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তিনি বলেন, সময় সময় আমাদের অনেক দুর্যোগ আসে এবং সেগুলি আমরা সমাধান করি। এখন আমাদের একটি সমস্যা আসছে সেটি আমরা সমাধান করতে পারবো।

আমেরিকানরা জাতি হিসেবে অনেক পরিপক্ক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যদিও র‌্যাবের উপর একটি নিষেধাজ্ঞা এসেছে, কিন্তু মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, গত কয়েকবছরে র‌্যাব সন্ত্রাসবাদ অনেক কমিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছে।’