রেকর্ড তাপমাত্রায় অতিষ্ঠ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বিস্তীর্ণ এলাকার লাখো মানুষ। আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রশান্ত মহাসাগর উপকূলের অধিকাংশ এলাকা ও রকি পর্বতমালার পশ্চিম পাশে তীব্র তাপ বিরাজ করছে। তীব্র তাপের কারণে গতকাল রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার কিছু সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সময় রোববার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর (এনডব্লিউএস) জানায়, দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের একটা বড় অংশে ভয়ংকর তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এ সময় তাপমাত্রা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে।
অপর দিকে কানাডার পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন অংশে তাপমাত্রা ৯০ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদেরা। এটি মৌসুমের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে অনেকটাই বেশি।
যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে শনিবার রেকর্ড করা হয়েছে ১১৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা।
বিজ্ঞাপন
তীব্র তাপের বিষয়ে ফনিক্স, সান জোস ও সিলিকন ভ্যালিসহ বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এদিকে কানাডায় দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে। গত দুই দিনে নতুন করে ৫০টি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন জরুরি পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।
কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৯৮টি দাবানলের তথ্য পাওয়া গেছে। দাবানলে এখন পর্যন্ত সেখানে কতজন মারা গেছে, তা জানা যায়নি। তবে এই সংখ্যা কয়েক শ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঝুঁকিতে থাকা প্রদেশের নানা এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যও আগুন জ্বলছে। শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত আগুন বেড়ে গেছে তিন গুণ। যুক্তরাষ্ট্রের বন বিভাগ জানিয়েছে, অরেগনে আগুনে লাখো একর এলাকা পুড়ছে।
আগের দফায় গত মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এখন নতুন দফায় আবার তীব্র তাপপ্রবাহ দেখছে দুই দেশের অধিবাসীরা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লাইমেট মনিটরিং সার্ভিসের নতুন তথ্য বলছে, উত্তর আমেরিকার ইতিহাসে গত জুন ছিল সবচেয়ে উষ্ণ মাস।