যুদ্ধবিরতি শুরুর একদিন পরই পরস্পরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৮শে নভেম্বর) দক্ষিণ লেবাননের ছয়টি এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। তাদের দাবি ওই এলাকায় ‘সন্দেহভাজন’ ব্যক্তিদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এর মধ্য দিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহর আইনপ্রণেতা হাসান ফাদলাল্লাহ ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে। তিনি বলেন, ইসরাইল সীমান্তবর্তী এলাকার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দারা ফিরতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সেসব এলাকায় আবারও হামলা চালিয়ে ইসরাইল চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় বুধবার (২৭শে নভেম্বর) থেকে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। সে অনুযায়ী দক্ষিণ লেবানন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে ৬০ দিন সময় পাবে ইসরাইলি বাহিনী। এ সময় কোনো পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা চালাতে পারবে না।
গত ১৪ মাস ধরে ইসরাইলে ও লেবাননের মধ্যে চলা যুদ্ধে সীমান্ত এলাকায় যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফেরত পাঠানোই এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য। তবে ইসরাইল তাদের বাসিন্দাদের সীমান্ত এলাকায় না ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ লেবাননের বাসিন্দারা নিজ বাড়ি ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননের মারকাবা, ওয়াজানি, কফারচৌবা, খিয়াম, তাইবে ও মারজাইউন এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি ট্যাঙ্ক। হামলায় মারকাবা এলাকায় দুজন আহত হয়েছেন।