ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন যেকোনও মুহূর্তে শুরু হতে পারে বলে দাবি করেছে হোয়াইট হাউজ। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, মাঠের পরিস্থিতি ‘স্পষ্ট চোখে’ দেখতে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন সীমান্তে লাখ লাখ রুশ সেনা সমবেত হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে অচলাবস্থা নিরসনে কূটনৈতিক পথ এখনও খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।

হোয়াইট হাউজের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি কারিনে জেন-পিয়ারে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এমন এক অবস্থায় রয়েছি যখন যেকোনও মুহূর্তে আগ্রাসন শুরু হতে পারে।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক পথ এখনও খোলা…কিন্তু আমরা মাঠের পরিস্থিতি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি।’ এক লাখের বেশি রুশ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েন রয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে সোমবার ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার আগ্রাসন ঘটে গেলে মস্কোর ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপে প্রস্তুত রয়েছে ইউরোপ। এছাড়া তিনি সতর্ক করে বলেন, ইউক্রেনে দ্রুত আগ্রাসন চালাতে রুশ বাহিনী যাবতীয় আয়োজন করে রেখেছে। তবে তিনি বলেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগ্রাসন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।

এদিকে ইউক্রেন সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের সব আশা শেষ হয়ে যায়নি বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নেতারা। তবে পরিস্থিতি এখনও নাজুক রয়ে গেছে বলে সতর্ক করেছেন তারা। ৪০ মিনিটের ফোনালাপে জো বাইডেন ও বরিস জনসন রুশ সামরিক পদক্ষেপ আসন্ন বলে একসঙ্গে সুর তোলেন। তবে একটি চুক্তি এখনও সম্ভব বলে সম্মত হন তারা।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। যদিও দেশটির সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনাসমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো। সোমবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সংকট সমাধানের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ক্লান্ত হয়ে পড়ার এখনও অনেক বাকি।

সূত্র: রয়টার্স