রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্বামী সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দিবাগত রাতে বাড্ডার জামশেদ টাওয়ার থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন, মা বৃষ্টি আক্তার (৩৩) ও মেয়ে সানজা মারওয়া (১০)।
ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরারা জানান, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে মা বৃষ্টি খাতুন এবং মেয়ে সানজানাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়ের পরিবারের দাবি, পরকীয়াসহ নানা কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এর জের ধরেই মা-মেয়ে হত্যার শিকার হতে পারে বলে ধারণা তাদের। অভিযোগ করেন, স্বামী সেলিম দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়ে দেশে ফিরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন।
বাড্ডা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাদেক বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে বনশ্রী ফরায়েজী হাসপাতালে নেওয়ার খবর পেয়ে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমরা সেখানে যাই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসক মা ও মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন।
এঘটনায় স্বামীর সেলিমকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে মা-মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিষপানের কোনো আলামত তাদের মধ্যে ছিল না। এজন্য প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেলিম তাদের দুজনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন।
এসআই আরও বলেন, তাদের সাত-আট মাসের আরও একটি সন্তান রয়েছে। সেলিম বর্তমানে বেকার, ফ্ল্যাটের ভাড়া তুলে সংসার চালায়। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি। লাশ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে।