বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৭টা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে তেমন কোনো লোকজন নেই। এ সময় সেখানে আসা দামি ব্রান্ডের কয়েকটি গাড়ি থেকে একে একে নামেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েক শীর্ষ নেতা।

একে একে সেখানে আসেন পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কয়েক কর্মকর্তাও। হঠাৎ অনির্ধারিত এ আগমনের সংবাদ পৌঁছে যায় গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে। প্রায় সোয়া ১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে নিচে নেমে আসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম।

সেখানে জাহাঙ্গীর কবির নানক গণমাধ্যম কর্মীদের বলেছেন, এখানে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। আমরা আজকে এখানে কোনো গোপন বৈঠক করিনি। প্রধান ফটক দিয়েই ঢুকেছি এবং প্রধান ফটক দিয়েই বের হচ্ছি। ফলে এখানে লুকোচুরির কোনো বিষয় নেই। আমরা বিশ্বাস করি নির্বাচনটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দ উৎসব ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা একটি দল করি, দলের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে আছি। আমরা তো আসতেই পারি জেলা প্রশাসকের কাছে আলাপ করতে। যেন একটি সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। কোনোভাবেই যেন নারায়ণগঞ্জের শান্তি ভঙ্গ না হয়। এ ব্যাপারে তো আমরা আবেদন রাখতেই পারি।

নানক বলেন, শান্তিপূর্ণ ও আনন্দময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য যে কেন্দ্রগুলো ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে সেই কেন্দ্রগুলোতে যদি ঝুঁকির সৃষ্টি হয় তাহলে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনটি আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আমি কাউন্সিলর প্রার্থীদেরও অভিনন্দন জানাই। তারাও অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা করেছে। এ পরিবেশের মধ্য দিয়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয় আশ্বস্ত করেছেন যে, আগামীকাল থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক পরিমাণ সদস্য মাঠে থাকবেন। র্যা ব পুলিশসহ সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। যাতে কোনো ধরনের শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, উনাদের সঙ্গে কোনো নির্ধারিত সভা ছিল না। উনারা এসেছিলেন কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি নির্বাচন যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা হবে।