জামালপুরের ইসলামপুরের এক মাদরাসা থেকে নিখোঁজ তিন শিশু শিক্ষার্থী রাজধানী ঢাকার মুগদা থেকে উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজের পাঁচদিন পর  গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মুগদা থানার মান্ডা এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশ।

উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জামালপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া। তিনি জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান পেতে পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ধরে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালায়। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয় রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুগদা থানার মান্ডা এলাকার রাজা মিয়া নামে এক রিকশাচালকের বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই তিন ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে এসেছে বলে জানিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ওই তিন শিশু শিক্ষার্থী দিনের পর দিন মাদরাসার হুজুরদের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনে পালানোর পরিকল্পনা করে। পরে তারা পালিয়ে ট্রেনে করে ঢাকা চলে আসে। কমলাপুরে নামার পর কোথায় যাবে তা বলতে না পারায় রিকশায় ঘুরতে থাকে। পরে ওই রিকশাচালক শিশুদের তাদের বাসায় নিয়ে রাখে। এতে রিকশাচালকের কোন অসৎ উদ্দেশ্য ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এএসপি আরও জানান, শুক্রবার সকালে ছাত্রীদের জামালপুরে নিয়ে আসা হয়। জামালপুরে নিয়ে আসার পর তাদের পালিয়ে যাওয়ার কারণসহ এ অভিযানের বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ওই তিন ছাত্রী অন্যদিনের মতো শনিবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে। রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে শিক্ষকরা ফজরের নামাজ পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। অন্য ছাত্রীদের মতোই নিখোঁজ শিশুরাও নামাজের প্রস্তুতি নেয়। তবে নামাজের পর তাদের আর কোনও মেলেনি।