আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ি ও সাধারণ মানুষের ঢিলেঢালা ভাবের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে লকডাউনের প্রথম দিন চলছে। মানুষকে ঘরে রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকলেও সাধারণ মানুষ খুব বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন না লকডাউনকে। বেশিরভাগ মানুষ বের হয়েছেন লকডাউন কেমন চলছে তা দেখার জন্য! লকডাউন দেখতে গিয়ে আটকও হয়েছেন ২১ জন।

চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউড়ী ও আগ্রাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সময় মানুষ রাস্তায় জড়ো হয়েছে। কাজির দেউড়ী এলাকায় কাজ করতে যাওয়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট এনামুল হক বলেন, দুপুরের দিকে নগরীর কাজির দেউড়ী এলাকায় অফিসের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ একটি গাড়ির কাগজপত্র তল্লাশি করছিল। এমন সময় দেখলাম গাড়ির একপাশে কমপক্ষে ৩০ জন শুধু দাঁড়িয়ে দেখছিল।

এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকায় লকডাউন দেখতে বের হয়ে পুলিশের হাতে ২১ জন আটক হয়েছেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সড়কে মানুষকে বিনা কারণে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, বিনা কারণে যাদেরকে রাস্তায় পেয়েছি তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে। কাল থেকে যদি বিনা কারণে কাউকে রাস্তায় পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রথম দিনে সরকারি বিধান অমান্য করে রাস্তার বের হওয়া ও দোকান খোলায় ৩৭ জনকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে ১৩ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, আজকে লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসনের ৯ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। যারা বিনা কারণে ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে। নির্দেশনার বাইরে যারা দোকান খোলা রেখেছে তাদের অর্থদণ্ড করা হয়েছে ও দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ঠেকাতে জেলা প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।