করোনা নিয়ন্ত্রণে সোমবার থেকে কঠোর লকডাউনের কথা বললেও সেই কড়াকড়ি পরে তিন দিন পিছিয়ে দেওয়ার কারণ জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, জুন ক্লোজিংয়ের কারণেই সরকারকে নতুন ঘোষণা দিতে হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে সোমবার থেকে লকডাউনের কথা বলা হয়েছিল কিন্তু ৩০ তারিখ যেহেতু অর্থবছর শেষ হতে যাচ্ছে, সেই বিবেচনায় পরিপূর্ণ লকডাউনের পরিবর্তে কিছু বিধিনিষেধ বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত আরোপ করা হয়।

তিনি বলেন, স্বল্প সংখ্যক মানুষকে অফিস করার কথা বলা হয়েছে। ১ তারিখ থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এবারে লকডাউন কার্যকর করার জন্য সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীকেও প্রয়োজনীয় জায়গায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিশেষজ্ঞদের সুপারিশে গত শুক্রবার সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু পরদিন শনিবার এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার। জুনের শুরু থেকে সংক্রমণ ও মৃত্যু আবার বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার কঠোর বিধিনিষেধের পথে হাঁটতে হচ্ছে সরকারকে।

সরকারের দফায় দফায় সিদ্ধান্ত বদলের সমালোচনা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এমনকি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শরিক জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুও সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউন বা শাটডাউন কোনটারই প্রয়োজন হত না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যেহেতু জনগণ সেটি ঠিকমতন অনুসরণ করেনি, তাই আমাদের কঠোর লকডাউনে যেতে হচ্ছে। এবার যদি এটির কেউ ব্যত্যয় ঘটায়, তাহলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।