লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম দুজনেই আউট হয়ে গেলেও তাদের দুইশ রানের জুটিতে রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। রশিদ-নবী-মুজিবদের তুলোধোনা করে এ দুই ব্যাটার বাংলাদেশকে এনে দিয়েছেন বড় সংগ্রহ।

নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। জিততে হলে ওভার প্রতি ৬.১২ রান হারে ৩০৭ রান করতে হবে আফগানিস্তানকে। আজ জীবন পেয়েছেন দুই থিতু ব‍্যাটার লিটন ও মুশফিক।

মুজিবের কোটার শেষ বল বেরিয়ে এসে খেলার চেষ্টায় পারেননি মুশফিক। স্টাম্পিংয়ের সহজ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি বদলি কিপার ইকরাম আলি খিল। সে সময় ৬৯ রানে ছিলেন মুশফিক। আশা করা হচ্ছিল, লিটনের মতো তিনিও অর্ধশতককে শতকের ঘরে নিয়ে যাবেন।

সেই লক্ষ্যে কিছুটা মারমুখি হয়েই খেলেন। কিন্তু সে আশা পূরণ করতে পারেননি মি. ডিপেন্ডেবল। ৪৭তম ওভারে পেসার ফরিদ আহমেদের দ্বিতীয় ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ডম্যান ফারুকির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক।

আউট হওয়ার আগে ৯ বাউন্ডারিতে ৯৩ বলে ৮৬ রান করেন পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম তারকা।

তার আগেই বলেই সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাসকে ফেরান ফরিদ। শর্ট বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন লিটন। দুর্দান্ত এক ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৬ ওভার পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন লিটন দাস।

১২৬ বলে ১৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১৩৬ রান করেছেন লিটন। সেঞ্চুরি হাঁকানোর আগে জীবন পেয়েছিলেন লিটন। তার ক‍্যাচ ছাড়েন হাশমতউল্লাহ শাহিদি। পরে এই ওপেনার সেঞ্চুরি করেন।

লিটন-মুশফিকের জুটি আজ থেমেছে ১৯০ বলে ২০২ রানে।

এ দুই ব্যাটারের আউটের পর দলীয় সংগ্রহ ৩০০ রান ছাড়িয়ে নিয়ে যান গত ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মাহমুদউল্লাহ।

আফিফ করেছেন ১২ বলে ১৩ রান আর মাহমুদউল্লাহ করেন ৯ বলে ৬ রান।