সালমান খানের পর এবার খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলিউড কিং শাহরুখ খানকে। ফাইজান নামে এক ব্যক্তি রায়পুর থেকে ফোনে এ হুমকি দিয়েছে। ঘটনার পরে মুম্বাই পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে। মুম্বাই পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই ছত্তিসগঢ়ে পৌঁছেছে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩০৮ এবং ৩৫১ ধারায় অভিয়োগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। ফোনের লোকেশনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে মুম্বাই পুলিশ।
বলিউড বাদশা খ্যাত শাহরুখ খানকে খুনের হুমকি দিয়ে সম্প্রতি বান্দ্রা থানায় আসে একটা উড়ো ফোন। শুধু হুমকিই নয়, দাবি করা হয় ৫০ লাখ রুপি। ঘটনার তদন্তে নেমে মুম্বাই পুলিশ জানতে পারে সেই ফোনটি এসেছিল রায়পুরের এক আইনজীবীর ফোন থেকে। যদিও তিনদিন আগেই তার সেই ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে। সেই আইনজীবী তার হারানো ফোনের বিষয়ে রায়পুর পুলিশের কাছে একটা জিডি দায়ের করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, হুমকি দিয়ে যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি নিজেকে হিন্দুস্তানি বলে দাবি করেন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৮(৪) এবং ৩৫১(৩)(৪) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে মুম্বাই পুলিশের এক তদন্তকারী দল রায়পুরে পৌঁছে ওই আইনজীবীকে জেরাও করেন। তিনি জানিয়েছেন, ২ নভেম্বর আমার ফোন চুরি হয়ে যায় এবং আমি অভিযোগ দায়ের করি। বিষয়টি মুম্বাই পুলিশকে জানিয়েছি। ওরা আমাকে প্রায় ২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এদিকে পুলিশি তদন্তে ওঠে এসেছে যে আইনজীবীর ছিনতাই হওয়া ফোন থেকে কিং খানকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়, তিনিও এর আগে শাহরুখের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে শাহরুখের ছবি “আনজাম”-এর হরিণ শিকার সংক্রান্ত কিছু সংলাপের বিষয়ে আপত্তি তুলেছিলেন ওই আইনজীবী।
সেসময় ওই আইনজীবী বলেছিলেন ‘‘আমি রাজস্থান থেকে এসেছি। বিষ্ণোই সম্প্রদায় আমার বন্ধু। হরিণ রক্ষা করা তাদের ধর্ম। সুতরাং কোনোও মুসলমান যদি হরিণ সম্পর্কে এধরনের কিছু বলে তাহলে তা নিন্দনীয়। তাই আমি আপত্তি তুলেছিলাম।” তবে আইনজীবীর দাবি, ‘‘আমার ফোন থেকে যারা এই ফোন করেছেন, মনে হচ্ছে তারা ইচ্ছাকৃত ভাবেই এটা করেছেন। মনে হয়, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’’