বরগুনা সদরের একটি বসতবাড়ির শোয়ার ঘরের মধ্য থেকে ২৭টি ডিমসহ একটি বিষধর গোখরা সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে বরগুনার ঢলুয়া ইউনিয়নের পূর্ব ফুল ঢলুয়া গ্রামের কামাল হোসেনের ঘরের শোয়ার ঘরের মেঝের মাটি খুঁড়ে সাপ ও ডিমগুলো উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কামালের ঘরে সাপ ও বাচ্চা রয়েছে এমন খবর শুনে আমরা দেখতে যাই। ওঝা এসে ২৭টি ডিম ও বাচ্চা উদ্ধার করেছে । সাথে মা সাপটি ধরা হয়েছে। এলাকায় প্রায়ই এ প্রজাতির সাপ দেখতে পাওয়া যায়। আশেপাশে আরো সাপের বাচ্চাসহ বড় সাপও থাকতে পারে। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয়রা সবাই আতংকে আছে।
কামাল হোসেন বলেন, শনিবার সকালে ঘরের মেঝেতে একটি গর্ত দেখতে পাই। ওই গর্তের মুখে সদ্য ত্যাগ করা সাপের একটি খোলস পড়ে ছিল। এরপর দুপুরে স্হানীয় একজন সাপুড়ে (ওঝা) ডেকে বাড়িতে আনি। ওঝা এসে ঘরের মেঝের ওই গর্ত খোঁড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে গর্ত থেকে একটি বিষধর সাপ ধরেন। এরপর গর্ত থেকে সাপের ২৭টি ডিম উদ্ধার করা হয়। পরে উদ্ধার হওয়া ডিমগুলো ধ্বংস করা হয়েছে এবং সাপটিকে ওঝা নিয়ে গেছেন।
ওঝা মালেক ফকির বলেন, উদ্ধার হওয়া মা সাপটি প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট লম্বা। উদ্ধার হওয়া ডিমগুলোর মধ্যে বাচ্চা জন্মেছিল। দুই তিন দিনের মধ্যেই ডিমগুলো থেকে বাচ্চা বের হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ত। ইতোমধ্যে ৮টি ডিম ফুটে বাচ্চা সাপ বেড়িয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ডিমগুলোর সাথে একটি দুমুখো সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। ওই বাচ্চা সাপ সহ বাকি ২৬টি বাচ্চা সাপ ও ডিম নষ্ট করে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে। এই প্রজাতির সাপ একসাথে ১০ জনকে দংশন করে মেরে ফেলতে পারে।
এবিষয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহিদা খাতুন বলেন, সাপটি গোখরা প্রজাতির। স্থানীয়ভাবে একে জাতি সাপ বা জাত সাপ নামেই মানুষ বেশি চেনে। অনেকে একে জউরা নামেও ডাকে। এ সাপ ফণা তোলে। এরা সাধারণত ঘরের মেঝেতে থাকে। মাটির নিচে ডিম পাড়ে এবং মা সাপটি ডিমের আশপাশে অবস্থান করে। বিষধর এই জাতের সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু হতে পারে। দেশে যতগুলো সাপের কামড়ে মৃত্যুর খবর শোনা যায় তার মধ্যে এ প্রজাতির সাপই বেশী।